
পাটকেলঘাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি:
তালা উপজেলার ভায়ড়া গ্রামের মৃত দিলীপ চক্রবর্তীর পুত্র গৌতম চক্রবর্তী (৩৭)। সদা হাস্যোজ্জল এ ব্যক্তি সুস্থ্য থাকাকালীন পশু চিকিৎসক হিসেবে পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে এ গ্রাম থেকে ও গ্রামে দৌড়ে বেড়াতেন। পশু চিকিৎসক হিসেবে তার যথেষ্ট সুনামও ছিল। বিনয়ী স্বভাবের গৌতম চক্রবর্তী পশুর রোগ ব্যাধির চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ্য করে তুলতে প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যেতেন। সুস্থ্য হলে অফুরন্ত আনন্দ পেতেন তিনি। এছাড়া পরিচিত হোক আর অপরিচিত হোক সকলের সাথে কুশল বিনিময় করে অল্প দিনেই তার নামডাক ছড়িয়ে পড়ে চারিদিক। কিন্তু পশু চিকিৎসক হিসেবে নামডাক থাকলেও বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। অভাবী পরিবারের গৌতম চক্রবর্তী নিজের শরীরে দুরারোগ্য ব্যাধি বাসা বাধলেও কোনদিন তা প্রকাশ করেন নি। ২ টি কন্যা সন্তানের জনক তিনি। হঠাৎ ১ সপ্তাহ আগে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। যার কারণে মঙ্গলবার রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যতই দিন যাচ্ছে তার শরীরের সমস্ত শিরা শুকিয়ে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে রক্তের উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। কোমরের নিচ হতে সার্বক্ষণিক ব্যাথা এবং অবশ থাকার কারণে দাঁড়াতে বা বসতে কোনটাই পারে না। নিজস্ব সম্পদ বলতে যা কিছু ছিল তা প্রায় শেষ। খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতারের ডাক্তার আব্দুল হালিম জানিয়েছেন, বর্তমানে তার অবস্থা খুবই খারাপ। আপাতত সুস্থ্য করতে হলে ৪ টি ইনজেকশন দরকার, তার দাম পড়বে প্রায় ১০ লাখ টাকা। এছাড়া আনুষঙ্গিক ঔষধ দরকার। কিন্তু দারিদ্রতার কষাঘাতে জর্জরিত গৌতম চক্রবর্তীর পক্ষে এত টাকা যোগাড় করা সম্ভব নয়। তাই সমাজের বিত্তবানদের কাছে তিনি চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য কামনা করেছেন। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা সোনালী ব্যাংক লিঃ, তালা শাখা, সাতক্ষীরা। সঞ্চয়ী হিসাব নং- ১৬১৫৫ ও ১৮০৭০। বিকাশ নং- ০১৯১২৯৪১৯৩৪।