
অনলাইন ডেস্ক ::
বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা গ্রহাণুর ধাক্কা থেকে বাঁচতে বহু উপায় নিয়ে চিন্তা করছে নাসা। মহাজাগতিক সংঘর্ষ রুখতে নিয়মিত গবেষণা চালাচ্ছে। সাধারণ জ্ঞান অনুযায়ী, পৃথিবীর অত্যন্ত জোরালো অভিকর্ষ বলের টান অনেকটাই বাঁকিয়ে চুরিয়ে দেয় এই ধরনের গ্রহাণুগুলোর কক্ষপথ। তবু ঘাতক গ্রহাণুর মোকাবিলায় নাসার হাতিয়ার এখন ডার্ট পদ্ধতি।
২০২১ সালের জুলাইয়ে যাত্রা শুরু করবে নাসার ডার্ট (ডাবল অ্যাস্টরয়েড রিডিরেকশন টেস্ট) মিশন। এর মাধ্যমে আধা টন ওজনের একটি মহাকাশযানকে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা কোনও গ্রহাণুর উদ্দেশ্যে ছোড়া হবে। বিজ্ঞানীদের মতে, দুই বস্তুর সংঘর্ষের ফলে দিক পরিবর্তন করবে গ্রহাণুটি।
২০২২ সালের অক্টোবরে এমন এক পরীক্ষা করবে নাসা, যেখানে পৃথিবী থেকে ৭০ লাখ মাইল দূরে ডিডিমুন নামক এক গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষ হবে নাসার ডার্ট পদ্ধতিতে পাঠানো এক মহাকাশযানের। একটি বড় ফ্রিজের মতো দেখতে মহাকাশযানটি বানিয়েছে জোনস হপকিন্স অ্যাপ্লায়েড ফিজিক্স ল্যাবরেটরি।
পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষের আশঙ্কা না থাকলেও, ডিডিমুন গ্রহাণুকেও ‘বিপজ্জনক’ আখ্যা দিচ্ছেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা। বলা হচ্ছে, আছড়ে পড়লে একটা গোটা শহর ধ্বংস করার মতো সক্ষমতা রয়েছে এই গ্রহাণুর। ঘণ্টায় ১৪স হাজার ৭০০ মাইল গতিতে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসবে এটা।
যদি কোনো গ্রহাণুর সঙ্গে ডার্ট পদ্ধতিতে পাঠানো মহাকাশযানের সংঘর্ষ ঘটে, সংঘর্ষের আগে মহাকাশযান থেকে বেরিয়ে আসবে জুতোর বাক্সের আকারের একটি ক্যামেরা। ইতালিয়ান মহাকাশ গবেষণা সংস্থার নির্মিত এই ক্যামেরা, দুই বস্তুর সংঘর্ষ রেকর্ড করে তথ্য জোগাড় করবে।
২৯ এপ্রিল পৃথিবীর পাশ কেটে বেরিয়ে যাওয়া গ্রহাণু ওআর২ ১৯৯৮ সালে মহাহাশবিজ্ঞানীদের নজরে এসেছিল। সেই থেকে এটির গতিপথ চিহ্নিত করে চোখ রাখা হচ্ছিল। নাসার বিজ্ঞানীদের মতে, ওআর২-র কক্ষপথ দেখে বোঝা গেছে, আগামী ২০০ বছরের মধ্যে পৃথিবীর সঙ্গে গ্রহাণুর টক্কর লাগবে না। তবে ২০৭৯ সালে ফের পৃথিবীর কাছাকাছি আসতে পারে গ্রহাণুটি।