ঘুর্নিঝড় মোখার প্রভাব ছিলনা সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায়


214 বার দেখা হয়েছে
Print Friendly, PDF & Email
ঘুর্নিঝড় মোখার প্রভাব ছিলনা সুন্দরবন  উপকূলীয় এলাকায়
মে ১৪, ২০২৩ ফটো গ্যালারি শ্যামনগর সাতক্ষীরা সদর সুন্দরবন
Print Friendly, PDF & Email

স্টাফ রিপোর্টার ॥
ঘুর্নিঝড় মোখার কোন প্রভাব ছিল না সাতক্ষীরার সুন্দরবন উপক’লীয় এলাকায় । রোববার সকাল থেকে রোদ আর মেঘের লুকোচুরি চলে দিনভর। গরম পড়ছে। তবে গত দুই দিনের তুলনায় রোববার গরম একটু কম। মৌসুমি বাতাশ বইছে সারা দিন।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকর আলী বলেন, সাতক্ষীরা উপক’লে মোখা তেমন কোন প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। তবে নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। মাঝে মাঝে দমকা হাওয়া বইছে উপক’লীয় এলাকায়।

আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর গ্রামের রাম প্রসাদ রায় ( ৫৬) জানান, আইলার পরে একাধিক দুর্যোগ আঘাত হেনেছে উপক’লীয় এলাকায়। অনেক মানুষ এলাকা ছেড়ে চলেগেছে। তাদের ভীটেমাটি সব নদীতে বিলীন হয়েগেছে। এসব কারনে যে কোন দুর্যোগ আসলেই আমাদের টেনশনের কোন শেষ থাকে না। মোখা নিয়ে তেমনই আমাদের চরম উদ্বেক ছিল। কিন্তু তেমন কোন প্রভাব পড়েনি।

সুন্দরবনবর্তী শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা হযরত আলী বলেন , সকাল থেকে প্রচন্ড রোদ। গরমও পড়ছে। আকাশে মাঝে মাঝে সামান্য মেঘ বাসতে দেখা যাচ্ছে। রোদ আর মেঘের লকোচুরি ছিল সারাটা দিন।
সুন্দরবন ঘেষা গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, সকাল থেকেই রোদ । মোখার কোন ধরনের প্রভাব ছিল না। তবে মানুষের মধ্যে মোখা আতংক ছিল আরও দু’দিন আগে থেকেই। মানষিক ভাবে সবাই প্রস্তুত ছিল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। স্থানীয় সাইক্লোন সেল্টার গুলো খুলে দেয়া হয়েছে। ঝড় বা জলোচ্ছ্বাস মোকাবেলায় সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। তিনি বলেন, জলোচ্ছ্বাস নিয়ে সব চেয়ে বেশি ভয় ছিল। কিন্তু আল্লাহ রক্ষা করেছে। কারন শ্যানগরের একাধিক পয়েন্ট-এ বেড়িবাঁধের অবস্থা নাজুক। নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে অনেক এলাকা ভেসে যাওয়ার আশংকা ছিল।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বলেন, মোখা মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল। ঝুকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ গুলো সংস্কার করার চেষ্টা চলছে কয়েক দিন আগে থেকে। বিশেষ করে উপক’লবর্তী এলাকায় মানুষকে সর্তক করা হয়েছে। খাদ্য, ওষুধপত্র মজুদ রাখা হয়েছিল।

#