
ভয়েস ডেস্ক : বিভিন্ন পদমর্যাদার ২৩০ পুলিশ সদস্যের পদোন্নতির জন্য ‘ঘুষের তহবিল’ গঠন করার অভিযোগে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) ১০ সদস্যের পর এবার এক উপ-কমিশনারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ের নির্দেশে বুধবার দুপুরে বরখাস্ত হন বিএমপির উপ-কমিশনার (উত্তর) জিল্লুর রহমান।
পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা একেএম কামরুল আহছান সমকালকে এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, শৃঙ্খলা ভঙ্গ, অসদাচরণ, দুর্নীতি ও পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় তার বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিএমপি কমিশনার শৈবাল কান্তি চৌধুরীও এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সমকালকে জানান, তাকে সিলেট পুলিশ রেঞ্জে ক্লোজড করা হয়েছে। বিএমপিতে ঘুষ কেলেংকারির ঘটনায় এ পর্যন্ত ১১ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
তিনি জানান, এর আগে সোমবার বরখাস্ত হওয়া ১০ পুলিশ সদস্য উপ-সহকারী পরিদর্শক (এসএসআই) এবং কনষ্টবল পদধারী। জিল্লুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করায় প্রথমবারের মতো শীর্ষ পদধারী কোন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হলো।
সোমবার পুলিশের ১০ সদস্যকে বরখাস্ত করার পর বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার শোয়েব আহমেদের নেতৃত্বে তিন সদস্যর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন বিএমপি কমিশনার শৈবাল কান্তি চৌধুরী। তারা সিকিউরিটি সেলের পাশাপাশি নিজস্ব আদলে তদন্ত করছেন।
বিএমপি কমিশনার শৈবাল কান্তি চৌধুরী জানান, জড়িতদের ব্যাপারে আরো তদন্ত চলছে।
বিএমপি সূত্রে জানা গেছে, বিএমপি’র সৃষ্ট প্রায় ৮শ পদে পদোন্নতি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে পদোন্নাতিপ্রত্যাশী পুলিশের প্রতি সদস্যের কাছ থেকে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে সংগ্রহ করা হয়। ইতিমধ্যে ৭৭ লাখ টাকার তহবিল গঠন করেন তারা।
যার মধ্যে বিএমপির এএসআই আনিসুজ্জামান, নায়েক কবীর হোসেন ও চালক বাবলু মজুমদারের যৌথ হিসাব নম্বরে ১৭ লাখ টাকা পাওয়া যায়। বরিশালের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের শাখায় ওই হিসাব নম্বর খোলেন তারা। বাকি টাকা বরিশালের এক পুলিশ কর্মকর্তার কাছে রয়েছে। চলতি সপ্তাহে এ ঘটনা প্রকাশ পেলে এনিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।