
এস কে হাসান ::
আশাশুনি উপজেলার মধ্যম চাপড়া আল্লাহর দান ব্রিক্স ও রজব আলি হাফিজিয়া মাদরাসা এলাকার মানুষের কল্যাণে ও পবিত্র ক্বোরআনের হাফেজ তৈরিতে অনুপম অবদান রেখে চলেছে।
মধ্যম চাপড়ায় ২০১০ সালে স্থাপিত রজব আলী হাফিজিয়া মাদরাসা শুরু থেকে ৪০ জন করে হেফজপিয়াসী নিস্পাপ শিশুদের নিয়ে সুষ্ঠভাবে চলে আসছে। ইতিমধ্যে ১২ জন হাফেজ পাগড়ি পরে জাতির কল্যাণে সমাজে দায়িত্ব পালন করছেন। হেফজখানার কল্যাণসহ এলাকার কল্যাণের মানসিকতা নিয়ে একই বছর কামরুল ইসলাম আল্লাহর দান ব্রিক্স চালু করেন। ভাটায় ৩০০ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। চাপড়া গ্রামের ৩০০ শ্রমিকের পরিবার এই ভাটায় কাজ করা মজুরী নিয়ে সুখে শান্তিতে দিনযাপন করছে। ভাটার উপার্জিত অর্থ থেকে মাদরাসা পরিচালিত হয়ে থাকে। প্রতি বছর ৫ লক্ষাধিক টাকা খরচ হয় মাদরাসা পরিচালনা করতে। সরকারি নিয়মনীতি মেনে ভাটায় সম্পূর্ণ কয়লা দিয়ে ইট পোড়ানো হয়ে থাকে। ভাটায় কোন খাস জমি নেই। রেকর্ডীয় ব্যক্তি মালিকানার জমি ভাটা চলছে। ভাটার লভ্যাংস থেকে সুন্দর ও দৃষ্টি নন্দন মধ্যম চাপড়া ক্লোজার জামে মসজিদের অর্ধেক খরচ বহন করা হয়েছে। চাপড়া পাকা রাস্তার সোলিং ও ভাটা হতে আরএস সড়ক পর্যন্ত কেয়ার রাস্তার ইটের সোলিং এই ভাটার অর্থে করা হয়েছিল। স্থানীয় বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল পরিচালনাসহ অসংখ্য মসজিদ, মাদরাসা, মাহফিল ও অনুষ্ঠানে সহায়তা করে থাকে। এরপরও ভাটার বিরুদ্ধে খাস জমি দখল, পথচারী, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বসবাসকারীদের সমস্যা সৃষ্টি ও ক্ষতি করার অপপ্রচার চালান হচ্ছে। হাফিজিয়া মাদরাসার বড় হুজুর হাফেজ আছাফুর রহমান বলেন, ভাটার দ্বারা তাদেরসহ পাশের কোন শিক্ষার্থী ও অধিবাসীর ক্ষতি হয় এমন অভিযোগ সঠিক নয়। বরং আল্লাহর রহমতে মানুষের কল্যাণে ভাটাটি নজির বিহিন কাজ করে আসছে। ভাটা শ্রমিক সরদার আবুল বাশার ও ইমাদুল সরদার বলেন, ভাটার শত শত শ্রমিমের কর্ম সংস্থানের ফলে চাপড়া গ্রামের গরীব মানুষগুলো শান্তিতে আছে। ভাটা কারো জন্য হুমকী নয়।
বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিঃ আ ব ম মোছাদ্দেক বলেন, ভাটাটি মহল্লার মানুষের জন্য খুবই উপকারী। ভাটার মাধ্যমে মাদরাসা পরিচালনাসহ উন্নয়ন মূলক অবদান হয়ে থাকে।