
গাজী আব্দুল কুদ্দুস ::
পদ্মার এপারের নারী শিক্ষার অন্যতম বিদ্যাপীঠ চুকনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীর জন্য ব্যবহৃত ২টি অফিস কক্ষ একটি পাঠদান কক্ষের মূল ভবনের উপরের অংশ অথ্যাৎ ছাদের জোড়ন হতে চতুরপাশ দিয়ে ফাঁটল ধরেছে। ছাদটি ধসে যে কোন সময় বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটার আশংকা দেখা দিয়েছে। তাছাড়া প্রায় ২বছর আগে এই ভবনটি আনুষ্ঠানিকভাবে পরিত্যক্ষ ঘোষনা করা হয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়,১৯৭০সালে চুকনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়টি শহরের পশ্চিম প্রান্তে একটি সম্পূর্ণ নিরিবিলি ও কোলাহল মুক্ত পরিবেশে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত বিদ্যালয়টি কোন প্রকার ঝুট ঝামেলা ছাড়াই সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত পরিবেশে চলে আসছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে অত্যন্ত সুদক্ষ প্রায় ২০শিক্ষক শিক্ষিকা। তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতি বছর এখান থেকে শত শত মেয়ে দক্ষতার সাথে ভাল ফলাফল করে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা লাভ করছে। প্রতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেয়ে তুলনামূলকভাবে অনেক ভাল। এরমধ্যে ২০১৬সালে বৃত্তি পরীক্ষায় এ বিদ্যালয়টি উপজেলার ১ম স্থান অধিকার করেছিল। ২০১৭সালে জেএসসি পরীক্ষায় কেন্দ্র থেকে ১ম স্থান অধিকার করেছিল এ প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে প্রায় ৫শতাধিক ছাত্রী রয়েছে।
কিন্তু দূঃখের বিষয় হল বর্তমানে এ বিদ্যায়লে ৩কক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবনের উপরের অংশ অথ্যাৎ ছাদের জোড়ন হতে চতুরপাশে ফাঁটল ধরেছে। পুরো ভবনটির ফাঁটলের আকার এত বড় হয়েছে যে বর্তমানে মূল ভবন ও ছাদ পৃথক পৃথক মনে হচেছ। মূল ভবনের সাথে ছাদের কোন সংপৃক্ততা নেই। মনে হচ্ছে ছাদটি শূন্যের উপর দাঁড়িয়ে আছে। যে কোন সময় ছাদটি ধসে পড়ে একটি বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটার আশংকা দেখা দিয়েছে। জানা যায় এ ভবনটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় ১৯৭০ সালে সকল পেশা শ্রেণীর মানুষের অর্থ দিয়ে নির্মান করা হয়েছিল। অথ্যাৎ ৪৮/৪৯বছর পূর্বে এ ভবনটি নির্মান করা হয়েছিল। ২০১৬সালে তৎকালীন উপজেলা এ্যাসিসট্যান্ট ইজ্ঞিনিয়ার মোঃ আব্দুল কুদ্দুস সরজমিনে ভবনটি দেখে এটিকে ঝুকিপূর্ণ ভবনের তালিকায় অন্তর্ভক্ত করেন। ঐ বছরেই সাব এ্যাসিসট্যান্ট ইজ্ঞিনিয়ার গৌতম রায় এটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঝুকিপূর্ণ ভবন বলে ঘোষনা করেন। কিন্তু তাদের ঘোষনার পর থেকে আজও পর্যন্ত এ ভবনটি সংস্কার বা ভেঙ্গে পূর্ণরায় নির্মানের কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি। তাছাড়া এ প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের বিশ্রামের জন্য কোন একাডেমিক ছাত্রী মিলনায়তন নেই। প্রতিবছর সরকারী জাতীয় সকল প্রোগ্রাম গুলো অত্যন্ত জামজমকপূর্ণভাবে পালন করা হলেও হল রুমের অভাবে আলোচনা করা তেমনভাবে সম্ভব হয় না। তাই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মিনতি কুন্ডু সহ সকল শিক্ষক কর্মচারী ও ছাত্রীদের দাবি অনতিবিলম্বে এখানে একটি দ্বিতলা বিশিষ্ট ভবন নির্মান করা হোক।
##