
বি. এম. জুলফিকার রায়হান, তালা (সাতক্ষীরা)
ছোট্ট তিনটি সন্তান। বড় সন্তান ইমন ১১ বছর, মেঝ সন্তান রিছাত ৬ বছর, আর একমাত্র কন্যা তন্বি সাড়ে ৪ বছর এর শিশু। তিন সন্তান আর জুট মিল শ্রমিক স্বামীকে নিয়ে আর্জিনা বেগমের ছিল সুখের সংসার। সন্তানদের বড় করে মানুষের মত মানুষ করার স্বপ্ন ছিল আর্জিনা বেগম-আছাদুল দম্পত্তির। কিন্তুু সেই সুখ স্বপ্ন তাদের বেশি দিন সইলো না। স্বপ্ন তাদের স্বপ্নেই থেকে যাচ্ছে! ঘাতক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে আর্জিনা বেগম এখন মৃত্যুর পথযাত্রি!
দারিদ্রতার নির্মম কষাঘাতে জর্জরিত আর্জিনা বেগম অথাভাবে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর প্রহর গুনছে।
কিন্তু মাত্র ৩২ বছর বয়সে ঘাতক ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে আর্জিনা বেগম মরেও যেন শান্তি পাবে না! তিনি মারা গেলে তার সন্তানদের কে দেখবে আর কি হবে? এমন উদ্বেগ এবং তিনটি ছোট্ট শিশু সন্তানের অনাগত ভবিষ্যৎ প্রটিটি মুহুর্তে কুরে কুরে খাচ্ছে মা আর্জিনাকে। তাইতো অন্তত সন্তানদের জন্য বেঁচে থাকতে হতভাগ্য মা’ আর্জিনা কেগম করুন আকুতি জানিয়েছে সমাজের বিত্তবান, দয়াশীল ব্যক্তিদের নিকট।
আর্জিনা বেগম এর বাড়ি তালা উপজেলার মাগুরা গ্রামে। তার স্বামীর নাম আছাদুল শেখ। তিনি ফরিদপুরের একটি জুট মিলের শ্রমিক।
আর্জিনা বেগম জানান, তার বাম স্তনে টিউমার ধরা পড়ার পর সহায় সম্বল বিক্রি করে খুলনার একটি খ্যাতিমান বেসরকারি ক্লিনিক থেকে অপারেশন করেন। এর কিছুদিন পর থেকে অপারেশ করা স্থানে বিভিন্ন রোগের উপসর্গ দেখা দেয়। অবস্থার দিন দিন অবনতির দিকে ধাবিত হওয়ায় গ্রামের মানুষের এবং একজন দয়াশীল ডাক্তারের সাহায্য-সহযোগীতা নিয়ে ঢাকায় আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে বিশেষজ্ঞ ডা. রুবাইয়া ফেরদৌসি’র তত্বাবধানে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরিক্ষা করেন। এখানেই আর্জিনা বেগমের বাম স্তনে ক্যান্সারের প্রাথমিক অবস্থা ধরা পড়ে।
আর্জিনা বেগম জানান, ক্যান্সারের প্রথম অবস্থায় ধরা পড়ার পর ডাক্তার জরুরী অপারেশনের পরামর্শ দিয়েছেন। এটা করতে পারলে হয়তো আর্জিনা বেগম জীবনে বেঁচে যাবেন। কিন্তু অপারেশ করার মত প্রয়োজনীয় ৩ লক্ষ টাকা তার নিজ ও জুট মিল শ্রমিক স্বামীর পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না। ইতোমধ্যে অনেক দিন পার হয়ে যাওয়ায় দিন দিন মৃত্যুর মুখে ধাপিত হচ্ছে আর্জিনা বেগম। মাত্র ৩ লক্ষ টাকা যোগাড় করার জন্য ইতোমধ্যে আর্জিনা ও তার হতভাগ্য স্বামী আছাদুল বিভিন্ন ব্যক্তি এবং সরকারি, বেসরকারি দপ্তরে আবেদন করেছেন। কিন্ত তাতে তেমন সাড়া মেলেনি।
যে কারনে আর্জিনা বেগম ও তার স্বামী তাদের ৩ ছোট্ট সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য সমাজের দয়াশীল ব্যক্তিদের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন। মাত্র ৩ লক্ষ টাকা যোগাড় হলেই আর্জিনা বেগমের জীবন বাঁচবে! আর সেই সাথে তাদের পরিবারে হয়তো আবারও আসবে সুখের স্বপ্ন। নিশ্চিত হবে ৩টি শিশু সন্তানের ভবিষ্যৎ!
হতভ্যাগ, দরিদ্র, অসহায় মা’ আর্জিনা বেগম এর সাহায্য পাঠানোর জন্য সোনালী ব্যাংক লি. মাগুরা শাখা, তালা, সাতক্ষীরা এর সঞ্চয়ী হিসাব নং : ০০২০৩০৬৫৯। এছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ একাউন্ট সহ মোবাইল ফোন নং : ০১৭৯১ ১৩৩২২৬ এ যোগাযোগ করা যাবে।