
নাজমুল হক :
জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তাদের দপ্তরভিত্তিক পরিকল্পনা করতে হবে। জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে হলে নতুন নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ তথ্য বাতায়ন কেন্দ্রে অনেক উদ্যোক্তা ঠিকমত যায় না। বিশেষ করে মহিলা উদ্যোক্তাদের ঠিকমত পাওয়া যায় না। অনেক ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান ও মেম্বররা তাদের সহযোগিতা করেন না।
ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করতে হবে।
রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তথ্য বাতায়ন, ই-ফাইল ও ডিজিটাল সেন্টারের কার্যক্রমের অগ্রগতি বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রামের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসনের বাস্তবায়নে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন প্রোগ্রামের ডোমেন এক্সপার্ট আলতাফ হোসেন শেখ, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসার লিয়াকত পারভেজ, সমাজসেবার উপ পরিচালক মহসীন আলী, কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়, জেলা তথ্য কর্মকর্তা সিরাজুল হক মল্লিক, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক এম কামরুজ্জামান প্রমুখ।
কর্মশালায় সাতক্ষীরা জেলা তথ্য বাতায়ন সম্পর্কে বিভিন্ন ভুল তুলে ধরা হয়। আশাশুনিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তথ্য, কৃষি বিষয়ক তথ্য সংশোধ করার তাগিদ দিয়ে বলা হয়, আগামী নতুন বছরে জেলা তথ্য বাতায়ন কেন্দ্র পূর্ণাঙ্গভাবে ও পরিপূর্ণ তথ্য সন্নিবেশিত করতে হবে। কর্মশালায় আরো বলা হয়, তথ্য সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সাতক্ষীরা জেলার অবস্থান সারা দেশে ৫ম। প্রথমে আছে রাজবাড়ী, দ্বিতীয় অবস্থানে যশোর, তৃতীয় স্থানে চট্টগ্রাম ও ৪র্থ অবস্থানে আছে পিরোজপুর জেলা।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান আরো বলেন, জেলার মানুষকে ডিজিটাল সেবা সর্বোচ্চ দিতে হবে। আমরা জেলায় ডিজিটাল হাজিরা করেছি। তিনি প্রত্যেক অফিসে সেবার মান উন্নত করার তাগিদ দেন। কর্মশালয়ে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।