
আলতাফ হোসেন বাবু :
জনতা ব্যাংক সাতক্ষীরা প্রধান শাখার ভবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সাতক্ষীরা শহরের শহীদ নাজমুল স্মরণী সড়কের মিনি মার্কেট সংলগ্ন জনতা ব্যাংক সাতক্ষীরা প্রধান শাখার ৪তলা ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদে ফাটল ধরেছে, ওই ভবনটি মাটিতে বসে যাচ্ছে এবং সম্পূর্ণ ভবন ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে।
সূত্রে জানাযায়, সাতক্ষীরা শহরের মুনজিতপুর এলাকার মৃত আজহার উদ্দীন তার নিজস্ব জমির উপরে ১৯৭৯সালের দিকে অপরিকল্পিত ভাবে ১তলা ভবণ নির্মান করে, ৪টি দোকান ভাড়া দেন। অপরিকল্পিত ভাবে নির্মিত একতলা ভবনের উপর পরবর্তিতে তিনি দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ তলায় সম্পসারণ করেন। ভবণের দ্বিতীয় তলায় জনতা ব্যাংক লিমিটেডের সাতক্ষীরা প্রধান শাখা অফিস, তৃতীয় তলায় জনতা ব্যাংকের আঞ্চলিক শাখা অফিস ভাড়া প্রদান করেন। আর ভবনের নিচ তলায় জনতা পেপার, জি মিডিয়া, কাশেম টেইলাস্, মহিনী প্রিন্টার্স, মজিদ সেলাই মেশিন ম্যাকানিক্স, সরকার বুকডিপোসহ ১৩টি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া হিসেবে প্রদান করেন। ভবনের উপরে জলছাদ না দেওয়া, দীর্ঘদিন যাবত ওই ভবণের সংস্কার কাজ না করায়, প্রাকৃতিক দূর্যোগ এবং বিভিন্ন সময়ে ভূমিকম্প হওয়ার কারনে ভবনের ভারসাম্য ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে পরিনত হয়েছে। ভবনের উপর জলছাদ নাথাকার কারণে উপর থেকে বৃষ্টির পানি চুয়ে দেওয়াল ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি ভবণের মালিক পক্ষ ভবনের ৪তলার উপরে টিন সেড দিয়েছেন। এছাড়া ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদে ফাটল ধরেছে এবং ভবনটি মাটিতে বসে যাচ্ছে। ভবনটি মাটিতে বসে যাওয়ার কারণে নিচতলার ৪টি প্লিয়ার চাপ খেয়ে, প্লিয়ার ভঙ্গুর হয়ে প্লাষ্টার ঝরে পড়ছে। দুমড়ে যাচ্ছে ভাড়াটিয়াদের দোকানের সাটার। গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় ব্যবসায়ীরা প্লিয়ার ভেঙে পড়া দেখে ভবণের মালিক পক্ষকে জানান। প্লিয়ার ভেঙে পড়ার ঘটনার পর মরহুম আজহার উদ্দীনের ছেলে সায়াদউদ্দীন প্রথমে বাঁশের খুটি দিয়ে ভবণের নিচতলায় পেলা দেন। শনিবার সকালে ভঙ্গুর হওয়া প্রতিটি প্লিয়ারের পাশে নতুন করে ইট গেথে প্লিয়ার নির্মান করে, পুরাতন ভবণ টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। অপরিকল্পিত ভাবে নির্মিত দীর্ঘ দিনের পুরাতন ভবনের বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ৪তলা ভবণে অবস্থানরত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানসহ আশপাশের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গুলোও ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, দীর্ঘ দিনের এই পুরাতন বিল্ডিং দ্রুত পরিত্যাক্ত ঘষণা না করলে, যে কোন মুহুত্তে প্রাণহানীর ঘটনা ঘটতে পারে।
এব্যাপারে ভবণ মালিক সায়াদউদ্দীনের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করে কোন সাড়া মেলেনী।