
অনলাইন ডেস্ক ::
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সোমবার ঘোষিত জনসভার জন্য এখনও অনুমতি পায়নি বিএনপি। এজন্য সব প্রস্তুতি শেষ করে এখন প্রশাসনের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে দলটি।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কথা জানান।
একই দাবিতে গত মার্চ ১২ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার অনুমতি না পেয়ে আবারও ১৯ মার্চ জনসভা করার ঘোষণা দেয় বিএনপি।
রুহুল কবির রিজভী জানান, জনসভায় সকল প্রস্তুতি শেষ। এখন তারা অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছেন। অনুমতি পেলেই মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হবে। এছাড়া তাদের নেতাকর্মীরাও প্রস্তুত রয়েছেন।
তিনি বলেন, গণপূর্ত অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রশাসনের অনুমতি পেলেই তাদের জনসভা করার অনুমতি দেবে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে তার অধীনে অনুষ্ঠিত হবে—অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের এ বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার বিদ্যা ভালো করেই জানে। আওয়ামী লীগ আত্মসম্মানহীন প্রতারক, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করাই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ইশতেহার। আওয়ামী লীগ নেতাদের কথায় মনে হচ্ছে, তাদের মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত। কিভাবে আরেকটি ভোটারবিহীন নির্বাচন মঞ্চস্থ করা যায়, সেই চক্রান্তমূলক আয়োজনে তারা ব্যস্ত রয়েছেন।’
পিঠা ভাগের মতো সংসদীয় আসনের সিংহভাগ আওয়ামী লীগ নিজেদের কব্জায় রেখে বাকি স্বল্পসংখ্যক আসন অন্যদলকে ভাগ দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন রিজভী।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আসন ভাগাভাগির বিষয়টি অনেকটা পরিষ্কার হয়ে গেছে। যতই ষড়যন্ত্র করেন না কেন, যতই ভাগাভাগি করেন না কেন, বানরের পিঠা ভাগাভাগির নির্বাচন এদেশের জনগণ হতে দিবে না।’
৫ জানুয়ারির মতো ‘ভোটারবিহীন একতরফা’ নির্বাচন আর এদেশে করতে দেওয়া হবে না বলে সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ অধিকার আদায়ের ঝটিকাকেন্দ্র। নির্বাচন নিয়ে ছিনিমিনি খেললে কাঁটাতারের বেড়া নয়, চীনের প্রাচীরের ন্যায় প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। বিএনপি একতরফা ভাগাভাগির নির্বাচনকে কেবল প্রত্যাখ্যান নয়, জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধের ধাক্কায় গুঁড়িয়ে দেবে।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আতাউর রহমান ঢালী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।