
অনলাইন ডেস্ক ::
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সোমবার জনসভা করতে চেয়েছিল বিএনপি। কিন্তু রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জনসভার অনুমতি মেলাতে পারেনি দলটি। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেও কাঙ্ক্ষিত সাড়া পাননি বিএনপি নেতারা।
বিএনপি নেতারা এক প্রতিনিধি দল নিয়ে রোববার ডিএমপি কার্যালয়ে যান। তারা ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার সঙ্গে জনসভার অনুমতি নিয়ে কথা বলেন। তবে ডিএমপি থেকে এ বিষয়ে সরাসরি ‘না’ বলা হয়নি। বলা হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দলটিকে জানানো হবে।
সংশ্নিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, রোববার বেলা ১১টা থেকে সোয়া ১১টা পর্যন্ত ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে কথা বলে বিএনপির প্রতিনিধি দল। কমিশনার তাদের জানিয়েছেন, জনসভার অনুমতি চেয়ে করা দরখাস্ত পাওয়ার পর তা গোয়েন্দাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু গোয়েন্দা প্রতিবেদন আসেনি বলে তিনি ‘অনুমতি দিতে অক্ষম’। এ সময়ে ডিএমপি থেকে তাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করলেও রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি কিছু জানাননি।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া, আবদুস সালাম ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ। এ বিষয়ে আবদুস সালাম বলেন, তারা সমাবেশের অনুমতির জন্য পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের বলা হয়েছে, পরে জানানো হবে।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গত ১ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ১১ মার্চ রাজধানীতে সমাবেশ করার ঘোষণা দেন। ৩ মার্চ জনসভার দিন পরিবর্তন করে ১২ মার্চ করার ঘোষণা দেন তিনি। ওই দিনই পুলিশসহ সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে রিজভী সংবাদ মাধ্যমকে জানান। এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি একই স্থানে একই দাবিতে সমাবেশ করতে চেয়ে সংশ্নিষ্টদের কাছ থেকে অনুমতি পায়নি বিএনপি। পরে কালো পতাকা প্রদর্শনের কর্মসূচি দিলেও ‘অনুমতি না থাকায়’ সেটি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে করতে পারেনি। পরে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেন নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, জননিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।