
রাবি প্রতিনিধি:
চৈত্রের শেষে টানা একরাত বর্ষণের ফলে জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো ক্যাম্পাস। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও ভবনের সামনে পানি জমে থাকতে দেখা যায়। ফলে দুর্ভোগে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী ও পথচারীরা।
একই সাথে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সারা দেশব্যাপী ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি থাকায় এই দুর্ভোগকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। হাটুভাঙ্গা জল ভেঙ্গে ক্যাম্পাসে এসে কিছু বিভাগের ক্লাস না হওয়ায় হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে অনেক শিক্ষার্থী । কোনো ড্রেন দিয়ে ঠিক মতো পানি যাচ্ছে না। অপরদিকে বেলা ১২টা পর্যন্ত এই জলাবদ্ধতা নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, শনিবারের রাতে টানা বর্ষণের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসস্ট্যান্ড, প্রশাসন ভবনের পিছনে লিচু চত্বর, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পিছনে আম চত্বর, সাগর ক্যান্টিনের সামনে, প্রেসক্লাব চত্বর, দ্বিতীয় বিজ্ঞান ভবন, শহিদুল্লাহ কলা ভবন ও মমতাজউদ্দিন কলা ভবনের সামনে হাটু পরিমান পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় বেলা ১২টা পর্যন্ত পানি জমে থাকে। একইভাগে বিভিন্ন আবাসিক হলের সামনে পানি জমে থাকতে দেখা গেছে।
ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান বলেন, ‘সকাল বেলা নাস্তা না করে হাটুভাঙ্গা জল পেরিয়ে ক্লাসে এসে শুনি আজ ক্লাস হবে না। এটা আমাদের সাথে প্রহসন ছাড়া আর কিছু নয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার কারণে সামান্য বৃষ্টিতে পুরো ক্যাম্পাস জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে যা আমাদের মোটেও কাম্য নয়।’
নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আসিফ হাসান রাজু বলেন, সকালে এসে হাটু সমান পানি সাতরিয়ে ক্লাসে যাই, কিন্তু যেয়ে শুনলাম ক্লাস হবে না এটা আমাদের জন্য চরম ভোগান্তি। প্রথমত এত বড় একটা বিশ^বিদ্যালয়ের পানি নিষ্কাশনের অব্যবস্থাপনা দ্বিতীয়ত ক্লাস না নিয়ে আমাদের ভোগান্তিতে ফেলা। যা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমি কখনো কামনা করি না।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাগত ছাত্র উপদেষ্টা প্র্রফেসর ড. মজিবুল হক আজাদ খান বলেন, ‘বৈশাখের আগমনীতে এমনটাই হয়ে থাকে। আমরা অতি দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করছি।’