
অনলাইন ডেস্ক ::
করলা সবজি হিসেবে পরিচিত হলেও আসলে এটি একটি ফল। বিভিন্ন ঔষধি কাজে ব্যবহৃত করলা তিতা জাতীয় ফলের অন্তর্গত। করলার স্বাদ তিতকুটে হলেও এটি পুষ্টিগুণে অনন্য। করলার রস করে খাওয়া গেলে তা শরীরের দারুন উপকার করে।
করলায় রসে প্রচুর পরিমানে আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন এবং পটাশিয়াম থাকে। এটি ফাইবারেরও দারুন উৎস। শুধুমাত্র করলা দিয়ে তৈরি রস খেতে খারাপ লাগলে তাতে সামান্য পরিমান মধুও যোগ করা যেতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৪০ কোটি মানুষ ডায়বেটিসে আক্রান্ত। করলার রসে ইনসুলিনের মতো পলিপেপটাইট পি অথবা পি-ইনসুলিন নামের একটি উপাদান থাকে যা প্রাকৃতিকভাবে ডায়বেটিস কমাতে সাহায্য করে। এটি রক্তে শর্করার পরিমান নিয়ন্ত্রণ করে।
এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, করলার রস শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এতে প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম থাকায় এটি শরীরের সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে,ফলে উচ্চ রক্তচাপ কমে। করলার রসে আয়রন এবং ফলিক এসিড থাকায় এটি স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় এবং হৃৎপিন্ড সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ করলার রসে ভিটামিন এ এবং সি থাকায় এটি ত্বক কুঁচকে যাওয়া রোধ করে। এছাড়া করলার রস নিয়মিত মাথায় লাগালে চুলে টাক পড়া কমে যায়।
পাকস্থলী পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে করলার রস। এছাড়া এটি মুত্রথলির কার্যক্ষমতাও বাড়ায়।
করলার রসে কম ক্যালরি, ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেট থাকায় এটি দীর্ঘসময় ক্ষুধা অনুভূত হওয়া রোধ দেয়। এর ফলে ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও এটি ভূমিকা রাখে।
করলার রস ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এতে বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন এ থাকায় এটি দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।
সূত্র : এনডিটিভি