
অনলাইন ডেস্ক:
প্রিন্সেস ডায়না এবং তার প্রেমিক দোদি ফায়াদ প্যারিসে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট। ১৮ বছর আগে ঘটে যাওয়া এ সড়ক দুর্ঘটনার রহস্য আজো উদ্ঘাটিত হয়নি।
সেদিন সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল ৩০ আগস্ট মধ্য রাতের একটু পরে। পাপ্পারাজি নামে পরিচিতি নাছোড়বান্দা ফটো সাংবাদিকদের লেন্স থেকে আত্মরক্ষা করার জন্য ডায়ানা এবং দোদি ফায়াদ অনেকটা গোপনে এবং তীব্র বেগে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে এসেছিলেন রিৎজ হোটেল থেকে।
গাড়িটির চালকের আসনে ছিলেন হোটেলটির নিরাপত্তা বিভাগের উপ প্রধান হেনরি পল। প্যারিসের পন্ট-ডি-আলমা রোড টানেলে পাড় হওয়ার সময় দুর্ঘটনা ঘটে।
দোদি-ডায়নাকে বহনকারী মার্সিডিজ গাড়িটি ঘণ্টায় ৬৫ মাইল বেগে আঘাত করে টানেলের ১৩তম স্তম্ভকে। কংক্রিটের এ স্তম্ভের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়ার পরিণামে গাড়িটি ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যায়।
আর ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান দোদি ও গাড়ি চালক হেনরি পল। ব্রিটেনের সাবেক রাজবধূ এবং রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সাবেক বধূ মারা যান এ দুর্ঘটনার কিছু পরেই।
ব্রিটিশ রাজপরিবারের সাবেক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এ দুর্ঘটনায় প্রাণ না হারালে হয়ত এটি একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা হিসেবেই চিহ্নিত হতো।
কিন্তু মৃত্যুর কয়েকে ঘণ্টার মধ্যেই ডায়নার মৃত্যু নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলা শুরু হয়। এ সব, প্রশ্নের প্রধান লক্ষ্য ছিল ব্রিটিশ রাজপরিবার বিশেষ করে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। মাতাল চালকের কারণেই ডায়নার গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়েছে। এ কথা জোর দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে দাবি করেছ ব্রিটিশ প্রশাসন। কিন্তু দুর্ঘটনার বিষয়ে পুরো সত্যি কথা এ বিবৃতিতে দেয়া হয় নি বলেই অনেকেই মনে করেন।
দুর্ঘটনার ১৮ বছর পরেও মানুষ এ দুর্ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করছেন। তারা মনে করছেন এ দুর্ঘটনায় হয়ত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের গোপন হাত রয়েছে।
তারা বলে থাকেন, দোদির সঙ্গে ডায়নার সর্ম্পক ব্রিটিশ রাজ পরিবারের কট্টর ভাবর্মূতরি প্রতি হুমকিই ছিল। তাই রাজ পরিবার তা মেনে নিতে পারেনি এবং দুর্ঘটনা সাজিয়ে ডায়নাকে হত্যা করা হয়েছে।
ডায়ানার মৃত্যুকে ঘিরে অনেক প্রশ্নের জবাব এখনও পাওয়া যায় নি। মনে করা হয় এ দুর্ঘটনার পেছনে একযোগে কাজ করেছে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৫ এবং ফ্রান্সের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।