
॥ বিশেষ প্রতিনিধি ॥
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী হয়েছিলেন। সে সময় দেশের স্বাস্থ্য বিভাগে যুগান্তকারী পরিবর্তনও এনেছিলেন তিনি । এবার একাদশ সংসদ নির্বাচনে জয় লাভ করে তিনি হ্য্যটট্রিক করেছেন । তাই এবারও আমরা সাতক্ষীরার জনপ্রিয় সাংসদ ডা. আফম রুহুল হককে মন্ত্রী হিসাবে পেতে চাই।
এই অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা ৩ ( আশাশুনি দেবহাটা ও কালিগঞ্জের অংশ বিশেষ) আসনের জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈকি নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন ডা. রুহুল হক জেলার বহুমুখী উন্নয়ন করে জেলাবাসীর কাছে পথিকৃৎ হয়েছেন। এবার মন্ত্রী হলে আমরা তার কাছ থেকে কাংখিত উন্নয়ন কাজ আদায় করতে পারবো। নির্বাচনের পরপরই সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সম্মিলিত নাগরিক সমাজ ডা. রুহুল হককে মন্ত্রী করার যে দাবি তুলেছিল তার প্রতি পূর্ন সমর্থন জ্ঞাপন করে এ এলাকার মানুষ আরও বলেন নবম সংসদ নির্বাচনের পর তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়ে স্বাস্থ্য খাতে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিলেন তা দেশবাসী স্মরণে রাখবে।
তারা বলেন স্বাস্থ্য সেবাকে জনগনের দোরগোড়ায় পৌছে দেওয়া ছাড়াও ডা. রুহুল হক মা ও শিশু মৃত্যু রোধ বিষয়ক জািতসংঘ ঘোষিত এমডিজি পুরস্কার অর্জনে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখেন। তারই কারণে বাংলাদেশে মা ও শিশু মৃত্যু হার প্রায় শুন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। তিনি সাতক্ষীরায় একটি মেডিকেল কলেজ, যুব উন্নয়ন কেন্দ্র , নার্সিং ট্রেইনিং সেন্টার গড়ে তুলেছেন এবং রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়নে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান হিাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এমনকি ২০১৪ এর নির্বাচনের পর থেকে গত পাঁচবছর যাবত তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসাবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক দায়িত্ব পালন করেছেন। গত দশ বছরে সাতক্ষীরায় যে উন্নয়ন হয়েছে তার নেপথ্যে রয়েছে ডা. রুহুল হকের অবদান। সম্প্রতি তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেন।
তার নির্বাচনপূর্ব প্রতিশ্রতির মধ্যে রয়েছে সাতক্ষীরায় আইটি পার্ক, রেললাইন স্থাপন, পূর্নাঙ্গ স্টেডিয়াম প্রতিষ্ঠা, কৃষি বিশ^বিদ্যালয় , ভোমরা বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরন। তারা আরও বলেন দেশে ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন, চিকিৎসার মান উন্নয়ন, সরকারি ওষুধে লাল সবুজ কভার মোড়ানো এসবই তার অবদান। তিনি একজন দক্ষ চিকিৎসক, অভিজ্ঞ এবং সৎ মানুষ জানিয়ে এলাকাবাসী আরও বলেন ডা. রুহুল হককে মন্ত্রী করা হলে সাতক্ষীরার তো বটেই দেশের সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। সাতক্ষীরার ২৩ লাখ মানুষ তাকে মন্ত্রী হিসাবে আবারও পেতে চায় বলে জানান তারা।
সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম বলেন আমাদের প্রত্যাশা ডা. আফম রুহুল হক মন্ত্রীত্ব লাভ করবেন। সাবেক সংসদ সদস্য স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সভাপতি ডা. মোকলেছুর রহমান বলেন ডা. রুহুল হক মন্ত্রী হলে দেশের স্বাস্থ্য বিভাগের আরও উন্নয়ন হবে। তিনি স্বাস্থ্যসেবাকে ফের ঢেলে সাজাতে পারবেন। আশাশুনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম বলেন আমরা তার মন্ত্রী হবার দিনটির জন্য অপেক্ষায় রয়েছি। কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদি বলেন ডা. রুহুল হকের মন্ত্রীন্ত¡ দেখতে চাই। আমরা বঞ্চিত হতে চাই না। দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. মুজিবর রহমান বলেন আমরা এখনও প্রত্যাশা করছি যে তিনি মন্ত্রী হবেন। জেলা নাগরিক আন্দোলনের আহবায়ক ফাহিমুল হক কিসলু বলেন আমরা ডা. রুহুল হককে মন্ত্রী হিসাবে পেতে চাই। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ বলেন ডা. রুহুল হক শুধু তার নিজের আসন নয় সাতক্ষীরা জেলায় একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি। তিনি মন্ত্রী হলে আমাদের উন্নয়ন চাহিদা মিটানো সহজ হবে। জেলা জাসদের সহ সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহি বলেন ডা. রুহুল হক আমাদের প্রাণের মানুষ। আমরা তার মন্ত্রীত্ব চাই।
আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার শিক্ষা জীবনের যে সময়ে ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রী সংসদের ভিপি ছিলেন সেই একই সময়ে ডা. রুহুল হক ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ সংসদের ভিপি। এ ক্রাণে এই দুই নেতা পরস্পরের প্রতি গভীর আস্থাশীল উল্লেখ করে সাতক্ষীরার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ আরও বলেন এবার তিনি মন্ত্রী হলে সাতক্ষীরায় পাবলিক বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাংখিত চাহিদা মিটবে।
ডা. আফম রুহুল হক সাতক্ষীরা ৩ আসনে ২০০৮ এর নবম সসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ এর দশম সংসদ নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য হন। সদ্য সমাপ্ত একাদশ সংসদ নির্বাচনে ডা. আফম রুহুল হক ৩ লাখ ৩ হাজার ৬৪৮ ভোট পেয়ে ফের নির্বাচিত হয়েছেন।