
স্টাফ রিপোর্টার ::
তালার ইসলামকাটি চল্লিশা বিলের সরকারি খাল অবৈধ ভাবে দখল করে মাছ চাষ করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ইসলামকাটি চল্লিশা বিলের সরকারি খালটি অত্র এলাকার পানি নিস্কাশনের একমাত্র মাধ্যম। খালটি অবৈধ ভাবে দখল করে তাতে মাছ চাষ করছে কতিপয় ব্যক্তি।
সূত্রে জানা যায়, যশোর জেলার কেশবপুর এলাকার মধু ও মোস্তাক নামের জৈনক ব্যক্তি খালটি অবৈধ ভাবে দখল করে তাতে মাছ চাষ করছে। মধু ও মোস্তাক খালটি দখলে নেওয়ার পরে ওই খালে বাধ ও নেটপাটা দিয়ে খালের স্বাভাবিক অবস্থার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।
এঘটনায় এলাকাবাসী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের জানান, ইসলামকাটি খালটির আয়তন প্রায় ৩ কিলোমিটার। এটি চল্লিশা বিল থেকে হয়ে সরাসরি কপোতাক্ষে গিয়ে মিশেছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে ইসলামকাটি সহ ৪টি ইউনিয়নের বিলের পানি ওই খালটি দিয়ে কপোতাক্ষ নদী গিয়ে পড়ে।
ইসলামকাটি ইউনিয়নের ১৭টি গ্রামসহ তালা সদর, তেতুলিয়া, মির্জাপুর ইউনিয়নের পানি নিস্কাশন হয় ওই খাল দিয়ে। অত্র অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র মাধ্যম ইসলামকাটির ওই খালটি।
এদিকে, চল্লিশা বিলে ঘের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে কেশবপুর এলাকার মধু ও মোস্তাক আহমেদ নামের ২ জন কুচক্রী ব্যক্তি। তারা ইসলামকাটি ইউপি চেয়ারম্যান সুভাষ চন্দ্র সেনকে ম্যানেজ করে উক্ত খালটি দখল করেছে বলে জানাগেছে।
ইতোমধ্যে তারা খালের বিভিন্ন স্থানে বাধ, লোহার নেটা পাটা দিয়েছেন। এতে করে ওই খাল দিয়ে পানি নিস্কাশন বাধা গ্রস্থ হচ্ছে। অবিলম্বে খালটি যদি অবমুক্ত করা না হয় তাহলে চলতি বর্ষা মৌসুমে ইসলামকাটি ইউনিয়ন সহ ৪টি ইউনিয়নের হাজারো মানুষকে
স্থায়ী জলাবদ্ধতার কবলে পড়তে হবে। তলিয়ে যাবে এ অঞ্চলের শত শত বিঘা ফসলী জমি ও বাড়ি ঘর। ডুবে মরতে হবে হাজারো পরিবারকে।
স্থানীয় মেম্বর আসাদ মৃধা বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান সুভাষ চন্দ্র মধু ও মোস্তাকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে খালটি তাদের কাছে অঘোষিত ইজারা দিয়েছে।
এতে এলাকাবাসী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অবিলম্বে খালটি উম্মুক্ত করা নাহলে আমরা এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে নেটপাটা সরিয়ে অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে খালটি উম্মুক্ত করব। কারণ কতিপয় ব্যক্তি স্বার্থের জন্য আমার এলাকাবাসীকে পানিতে ডুবে মরতে দেব না।
এবিষয়ে ইসলামকাটি ইউপি চেয়ারম্যান সুভাষ চন্দ্র সেনের সাথে যোগাযোগ করলে সাংবাদিক পরিচয় শুনে তিনি মিটিংএ আছি পরে কথা বলবো, বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেদেন।
তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সরকারি খাল অবশ্যই উন্মুক্ত করা উচিত। কিন্তু খালটি রক্ষনা বেক্ষণ না করা যায় তাহলে জোয়ারের পানিতে অত্র এলাকা প্লাবিত হতে পারে। তবে খালে নেট পাটার বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।
এঘটনায় অভিযুক্ত মধু ও মোস্তাকের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
##