তালার ধানদিয়ায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে তিন দিন ব্যাপী অনুষ্ঠান


490 বার দেখা হয়েছে
Print Friendly, PDF & Email
তালার ধানদিয়ায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে তিন দিন ব্যাপী অনুষ্ঠান
মার্চ ২৭, ২০১৮ তালা ফটো গ্যালারি
Print Friendly, PDF & Email

মঈনুল আমিন মিঠু ::
তালা উপজেলার ধানদিয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২৫ বছর পূর্তি ও ৪৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে তিন দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ২৭ মার্চ দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যায় স্বাধীনতা দিবস শীর্ষক আলোচনা আলোচনা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে  সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক সন্তোষ কুমার বিশ্বাস প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্যানেল চেয়ারম্যান আরিফুল আমিন মিলন, ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নান, গোলাম মোস্তফা, রমেশ সাহা, সাহেব আলী, সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ, মুক্তিযোদ্ধা তবিবুর রহমান, শিক্ষক নাসির উদ্দিন, রাধাপদ সাহা প্রমুখ।


আলোচনাকালে বক্তারা বলেন জাতির জীবনে আজ অনন্য এক দিন। ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। ৪৬ বছর আগে এই দিনেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দেশকে দখলদারমুক্ত করার সংগ্রামে নামার আহ্বান জানিয়েছিলেন। একই সঙ্গে গতকাল শনিবার জাতি প্রথমবারের মতো ২৫ মার্চের কালরাতকে গণহত্যা দিবস হিসেবে জাতীয়ভাবে পালন করল। শোক ও স্বাধীনতার গর্বিত মুহূর্ত খুব কম জাতির জীবনে এভাবে পাশাপাশি এসেছে। পাকিস্তানি ঘাতক সেনাবাহিনী ২৫ মার্চ রাতে যখন রাজধানীতে এক নৃশংস গণহত্যায় মেতে ওঠে, তখন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে নিজ বাসায় গ্রেপ্তার হওয়ার আগমুহূর্তে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে একটি বার্তা পাঠান। বার্তায় তিনি বলেছিলেন ‘আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র। একে যে রকম করেই হোক শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।’ ইপিআরের ওয়্যারলেস থেকে তাঁর এই বার্তা প্রচারিত হয়েছিল। চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতারা মাইকে এটি প্রচার করেন। পরে চট্টগ্রামে অবস্থানরত বাঙালি সেনা কর্মকর্তা মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণা তাঁর পক্ষে বেতারে পাঠ করলে দেশবাসী স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু হওয়ার বিষয়টি জানতে পারে।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হামলা শুরুর পরপরই দেশের বীর সন্তানেরা বিভিন্ন স্থানে প্রতিরোধসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ মতো যার যা আছে তা-ই নিয়ে মুক্তিসংগ্রামে অংশ নেয় বাঙালি। নয় মাস মরণপণ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় চিরকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। জাতি আজ গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করা বীর সন্তানদের।
এরপরে শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পুরো অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শিক্ষক মঈনুল আমিন মিঠু ও আব্দুল আলিম।