তালায় নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে ঘোষ সনৎ কুমারের সাংবাদিক সম্মেলন


488 বার দেখা হয়েছে
Print Friendly, PDF & Email
তালায় নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে ঘোষ সনৎ কুমারের সাংবাদিক সম্মেলন
মার্চ ২৬, ২০১৬ তালা ফটো গ্যালারি
Print Friendly, PDF & Email

স্টাফ রিপোর্টার :
তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার বলেছেন, সদ্য অনুষ্ঠিত তালা উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের নির্বাচন, নির্বাচন পরবর্তী সহিংস ঘটনা ও  আমার  বিরুদ্ধে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার, সমাজে এবং আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে চক্রান্ত শুরু করেছে। শুক্রবার বিকালে নিজ কার্যলয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার  সাংবাদিক সম্মেলন করে এই অভিযোগ উত্থাপন করেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগে যোগদান করার পর বহু চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আমি এখন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের তালা উপজেলার বারবার নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের মনোনয়নে দু’বার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, ওয়ার্কাস পাটি থেকে বহিস্কৃত হয়ে আওয়ামী লীগে যোগদেয়া বিতর্কিত রাজনীতিক প্রণব ঘোষ বাবলু আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে নানাবিধ ষড়যন্ত্র শুরু করে। যার ধারাবাহিকতায় আমাকে ও আমার পরিবারকে বার বার জনগনের সামনে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং এখনও অব্যাহত রয়েছে।

ঘোষ সনৎ কুমার বলেন, ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গত ২৩ মার্চ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে প্রণব ঘোষ বাবলু আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সন্মেলন করে যে কাল্পনিক বক্তব্য উপস্থাপন করেছে তা’ সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। এছাড়া তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর ২৪ মার্চ যে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে তা বাস্তবতা বিবর্জিত এবং ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ। মূলত নিজের গর্হিত অপকর্ম ঢাকতে প্রণব ঘোষ বাবলু তার সকল দায় আমার উপর চাপানোর অপচেষ্টা করছে। এজন্য সে বিভিন্ন ভাবে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে আমার ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন করে যাচ্ছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার আরও বলেন, গত ২১ মার্চ দিনগত রাতে অর্থাৎ নির্বাচনের পূর্বরাতে খলিলনগর ইউনিয়নের হরিশচন্দ্রকাটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ইউপি চেয়ারম্যান প্রণব ঘোষের নেতৃত্বে তার পোষ্য গুন্ডা বাহিনী ভোট ডাকাতির জন্য হামলা করে। কিন্তু ভোট ডাকতি করতে ব্যর্থ হয়ে কর্মরত ৪ জন আনসার সদস্যর উপর আক্রমন করে। এতে ২ নারী ও ২ পুরুষ আনসার গুরুতর আহত হয়।

ঘোষ সনৎ কুমার অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে অপকর্মের কারনে বহিস্কৃত হয়ে আ.লীগে যোগদানের পর থেকেই আ.লীগের রাজনীতিতে সর্ব সময় দ্বিধা দ্বন্দ ও ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে। এমনকি সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি তালার ১২টি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ সমর্থক প্রার্থীদের পক্ষে ব্যপক প্রচারনা চালিয়েছি। যেকারনে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফলাফল ঘোষিত হওয়া ১১ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থক প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে।

কিন্তু ১২ নং খলিলনগর ইউনিয়নের আ.লীগ মনোনিত প্রার্থী প্রণব ঘোষ বাবলু তার ব্যক্তিগত অযোগ্যতা, ইউনিয়নবাসীর উপর বিগত দিনে সীমাহীন নির্যাতন, জেল-জুলুমসহ দালালী, পুলিশি হয়রানী, বাটপারির মাধ্যমে ইউনিয়নবাসীকে অতিষ্ট করে তোলে। যেকারনে ইউনিয়নবাসী তার থেকে এবার মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

সদ্য যোগদানকারী আওয়ামীলীগ নেতা প্রণব ঘোষ বাবলু আ.লীগে যোগদান করে চিহ্নিত সন্ত্রাসী, দালাল, বাটপারদের নিয়ে বিশেষ বাহিনী গঠন করে তালা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে অতিষ্ট করে তুলেছে। তিনি বিগত দিনে নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপর্ন্থী দলের নেতা হিসেবে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে বিগত কেয়ার টেকার সরকারের সময় ভারতে পালিয়ে যেয়ে রক্ষা পায়।

বর্তমানে তিনি পরিচ্ছন্ন আ.লীগের নেতা কর্মীদের সমর্থন না পেয়ে তালা উপজেলা আ.লীগকে খন্ড বিখন্ড করে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন। সে কারনে তালা উপজেলার আ.লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীসহ সমর্থকদের এই চরিত্রহীন রাজনীতিকের সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে। প্রণব ঘোষ বাবলু বর্তমানে জামায়াত, বিএনপি কর্মীদের সাথে নিয়ে আ.লীগে নেতা কর্মীদের বাড়িতে যেয়ে বিভিন্ন রকম হুমকি প্রদর্শন করছে বলেও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জানিয়েছেন।

এসব বিষয়ে দলীয়ভাবে কিংবা গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে প্রকৃত সত্য ঘটনা যাচাই পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সাংবাদিকদের মাধ্যমে- উপজেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।