
বি. এম. জুলফিকার রায়হান ::
তালার ঘোষনগর গ্রামে ১ সন্তানের জনক সুমন মাতব্বরের ঈভটিজিং এর শিকার হয়ে স্থানীয় একটি বালিকা বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির ছাত্রীর শিক্ষা গ্রহন বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে। বখাটের সুমনের একের পর এক ঈভটিজিং এর প্রতিবাদ করতে যেয়ে এখন উল্টো বিপাকে পড়েছে ক্ষতিগ্রস্থ স্কুল ছাত্রীর পরিবার। অভিযোগ উঠেছে, প্রভাবশালী স’মিল মালিক শামীমের ছত্রছায়ায় থেকে বহাল তবিয়তে ওই শিশু শিক্ষার্থীর জীবন অতিষ্ট করে তুলছে। এঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তর সহ থানা পুলিশের সহযোগীতা চাইলেও প্রশাসনের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নাটকীয় ভূমিকার কারনে বখাটে সুমন মাতব্বর রয়েছে বহাল তবিয়তে। এঘটনায় এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
ঈভটিজিং শিকার ছাত্রীর খালাতো ভাই জানান, তার বোন (১৫) স্থানীয় একটি বালিকা বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। স্কুলে যাতায়াতের পথে গঙ্গারামপুরের বাজারের শামীমের স’ মিলের শ্রমিক সুমন মাতব্বর (৪০) প্রতিনিয়ত ওই ছাত্রীকে উত্যাক্ত করে। এবিষয়টি জানতে পেরে ওই ছাত্রীর পরিবার ঘটনার প্রতিবাদ করলে সুমন সহ তার স’মিল মালিক শামীম (৫০) উল্টো ওই ছাত্রীর পিতা-মাতাকে নানান হুমকি প্রদান করে। সুমন মাতব্বর বিগত প্রায় দু’ বছর যাবৎ গঙ্গারামপুর বাজারের শামীমের স’মিলে শ্রমিকের কাজ করে আসছে। তার স্ত্রী ও ১টি কন্যা সন্তান রয়েছে। সে ফরিদপুরের বাসিন্দা।
সুমন মাতব্বরের উত্ত্যাক্ত করার প্রতিবাদে ওই ছাত্রীর মা গত ২৫ সেপ্টেম্বর তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ করেন। অভিযোগটি আমলে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৎক্ষনাত জরুরী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তালা থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। থানা পুলিশ এবিষয়ে উভয় পক্ষকে ডেকে এনে সালিসে বসেন। সালিস সভায় উত্ত্যাক্ত করার বিষয় প্রমানিত হয়। এসময় থানা পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকার সুযোগে সুমন মাতব্বর ও স’মিল মালিক শামীম সালিস থেকে কৌশলে ১৫দিন সময় নিয়ে চলে যান। এঘটনার ১ মাস অতিবাহিত হলেও প্রশাসন অদ্যবদী কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ভুক্তভোগী পরিবার হতাশ হয়ে পড়েছে। বর্তমানে বখাটে সুমন মাতব্বরের নানান আস্ফালন, কুৎসা রটানো ও হুমকীর কারণে বিগত ১ মাস ধরে স্কুলে না যেয়ে মামার বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছে ওই ছাত্রী।
এবিষয়ে জানতে চাইলে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রশান্ত কুমার বিশ^াস বলেন, অভিযোগ পাবার পর আমি তালা থানাকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছিলাম। থানা ব্যবস্থা গ্রহন না করলে ওই ছাত্রীর পরিবার উত্ত্যাক্তকারীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করতে পারে।
তালা থানা এস আই সৈকত জানান, ঘটনাটি নিয়ে খলিলনগর ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতে থানায় বসাবসি হয়। যদিও এটা সালিস যোগ্য না। তারপরেও সুমনকে একটা সুযোগ দেয়া হয়েছিল। এখন যদি সে সালিসের শর্তমত কাজ না করে, তাহলে এঘটনায় অবশ্যই মামলা হবে।