
তালা প্রতিনিধি :
উপজেলার ৫নং তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের ৯নং (নওয়াপাড়া, কলিয়া ও দাওয়ানিপাড়া) কেন্দ্রে ভোট কারচুপী করার অভিযোগে পুনরায় ভোট গননার দাবী উঠেছে। তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উক্ত ওয়ার্ডের সাধারন সদস্য পদে নির্বাচনে অংশগ্রহন করা মো. মশিয়ার রহমান এই দাবী করেছেন। দাবী বাস্তবায়নের জন্য বৃহস্পতিবার তিনি সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন অফিসার সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন।
মশিয়ার রহমান জানান, ২২ মার্চ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ভোট কলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। এই কেন্দ্রে ৩ হাজার ভোটার এর মধ্যে ২হাজার ৪০০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। তিনি বলেণ, নির্বাচনে তাঁর (মশিয়ার রহমান) মোরগ প্রতিকের বিজয় নিশ্চিত বুঝতে পেরে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী সেকেন্দার আলী সহ তার পুত্র জাহাঙ্গীর, ছোট ভাই শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মচারী দিদার এবং খালাতো ভাই মুড়াকলিয়া গ্রামের ইয়াছিন সরদার এর নেতৃত্বে দূর্র্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে ভোট কেন্দ্রে হামলা করে। এসময় দূর্বৃত্তরা ভোট কেন্দ্রে ত্রাস সৃষ্টি করে মশিয়ারের এজেন্ট এবং কর্মিদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। পরে নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ঠ কতিপয় কর্মকর্তার সাথে যোগসাজসে কৌশলে ভোট কারচুপি করে নিজেদের ভোট বাড়িয়ে নেয়। এবিষয়টি তৎতক্ষনাত প্রিজাইডিং অফিসারকে জানালেও তিনি যথাযথ ব্যবস্থা নেননি। এমনকি তৎক্ষনাত ভোট পুনরায় গননার দাবী করা হলেও প্রিজাইডিং অফিসার তা মেনে নেননি। মশিয়ার রহমান অভিযোগ, নানাবিধ দূর্নীতির সাথে জড়িত ইউপি সদস্য সেকেন্দার আলীকে পুনরায় বিজয়ী করার জন্য ভোট কেন্দ্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিশেষ সুবিধা নিয়ে সেকেন্দার আলীর সাথে যোগসাজ করে মোরগ প্রতিককে পরাজিত করার চেষ্টা করে। এব্যপারে কারচুপীর ঘটনার তদন্ত সহ পুনরায় ভোট গননার দাবীতে মশিয়ার রহমান সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেছেন।
###
তালার মেশেরডাঙ্গায় সহিংসতায় আহত মহিলাকে ঢাকায় প্রেরন
তালা প্রতিনিধি
উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের ১নং (রাজাপুর, মেশেরডাঙ্গা) ওয়ার্ডে বিজয়ী ইউপি সদস্য নিমাই সানার নেতৃত্বে দূর্র্বৃত্তরা পরাজিত প্রার্থী নিতাইপদ বাছাড় এর সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। হামলায় কলেজ প্রভাষক সহ ৭জন আহত হয়। গত বুধবার দুপুরে সহিংস ঘটনায় গুরুতর আহত মহিলা নমিতা ব্যানার্জীকে বৃহস্পতিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরন করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশংকাজনক। উল্লেখ্য, ২২ মার্চ খেশরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি নির্বাচনে ইউপি সদস্য নিমাই সানা আবারও বিজয়ী হয়। এরপর থেকে উক্ত নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বি মেশেরডাঙ্গা গ্রামের নিতাইপদ মন্ডলের কর্মীদের নানাবিধ হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এই ধারাবাহিকতায় বুধবার দুপুরে বিজয়ী ইউপি সদস্য নিমাই সানার নেতৃত্বে কামন আশীষ মন্ডল, অম্বিক মন্ডল, সত্যজিৎ মনস্ডল ও অভিজিৎ মন্ডল সহ ৪০/৫০ জনের দূর্র্বৃত্ত দল কলেজ প্রভাষক আদিত্য ব্যানার্জীর বাড়িতে হামলা করে। হামলায় নিতাইপদ বাছাড়ের সমর্থক প্রভাষক আদিত্য ব্যানার্জী, নমিতা ব্যানার্জী, লতা, দিপঙ্কর ব্যানার্জী, ষষ্ঠি ব্যানার্জী, পুষ্প ব্যানার্জী ও গোবিন্দ মন্ডল আহত হয়। এদের মধ্যে নমিতা ব্যানার্জীর অবস্থা আশংকাজনত হওয়ায় তাকে তালা হাসপাতালে এনে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। এখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতী হলে বৃহস্পতিবার তাকে ঢাকায় নেয়া হয়।