
স্টাফ রিপোর্টার :
দলীয় নির্দেশ লঙ্ঘন করে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় সাতক্ষীরার সাতটি উপজেলার ৫৮ জন আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা পরিষদে অনুষ্ঠিত দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশনার আলোকে এক সভায় এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বহিষ্কৃতরা আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম এ ৫৮ জনের তালিকা প্রকাশ করে বলেন, কেন্দ্র আগে থেকেই তাদের দলের মূল প্রার্থীর বিপক্ষে যেতে নিষেধ করেছিল। কিন্তু তা না শুনে তারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে দাড়ান। পরে তাদের স্থানীয় কারণ দর্শানো নোটিশ করে তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল।
বহিষ্কৃতরা হলেন তালা উপজেলার ধান্দিয়া ইউনিয়নের মোঃ আনিস উদ্দিন, কুমিরার শাহবাজ আলী, তেতুলিয়ার আব্দুল, ইসলামকাটীর আব্দুল হামিদ ও মিনহাজ উদ্দিন, খলিশখালির অশোক লাহিড়ী, খেসরার মুর্শিদা পারভিন ও কামরুল ইসলাম এবং খলিলনগরের আজিজুল ইসলাম রাজু।
এদিকে সাতক্ষীরা সদরের বহিষ্কৃতরা হলেন বাঁশদহা ইউনিয়নের আব্দুল খালেক, কুশখালির গোলাম মোস্তফা ও শফিকুল ইসলাম, বৈকারির আব্দুর রউফ ও আঁগড়দাড়ির মজনুর রহমান মালি।
দেবহাটার বহিষ্কৃতরা হলেন পারুলিয়া ইউনিয়নের শফিকুর রহমান, দেবহাটা সদরের আবু বকর গাজী, কুলিয়া ইউনিয়নের ইমাদুল ইসলাম। শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের আজিজুল ইসলাম, শ্যামনগর সদরের গোলাম মোস্তফা মুকুল ও বিশ্বনাথ নন্দী সাগর, কৈখালির শাজাহান সিরাজ, রমজাননগরের শেখ আল মামুন, আটুলিয়ার স্বপন কুমার বৈদ্য ও আবু সালেহ বাবু এবং গাবুরার মঞ্জুর এলাহী।
আশাশুনির বহিষ্কৃতরা হলেন কুল্ল্যা ইউনিয়নের দেলোয়ার হোসেন, দরগাপুরের জমিরুদ্দিন, বিশ্বজিত ও আব্দুল হান্নান মন্টু, বড়দলের কালাম সানা, আশাশুনির সেলিম রেজা মিলন, আশাশুনি সদরের ঢালী শামসুর রহমান, শ্রীউলার নূর মোহাম্মদ, জহুরুল ইসলাম ও দীপঙ্কর বাছাড়, খাজরা ইউনিয়নের রুহুল কুদ্দুস, আনুলিয়ার কেএম ফারুকুজ্জামান, প্রতাপনগরের খালিদুর রহমান বাবু, কাদাকাটির মফিজ মোড়ল ও মিজানুর রহমান। এদিকে কলারোয়া উপজেলার বহিষ্কৃতরা হলেন যুগিখালি ইউনিয়নের ওজিয়ার রহমান, দেয়াড়া ইউনিয়নের মেহেদী হাসান, কুশোডাঙার জাকির হোসেন, জয়নগর ইউনিয়নের শফিকুর রহমান মালী, বিশাখা রানী সাহা ও মনিরা বিশ্বাস।
জালালাবাদ ইউনিয়নের আব্দুল খালেক, কয়লা ইউনিয়নের ইমরান হোসেন, লাঙলঝাড়ার নুরুল ইসলাম, কেড়াগাছির মারুফ হোসেন, চন্দনপুরের হারুনার রশিদ, রুস্তম আলী, মোঃ বদরুজ্জামান ও মোঃ নুরুল ইসলাম, কেরালকাতা ইউনিয়নের আব্দুল হামিদ এবং হেলাতলা ইউনিয়নের ফারুক হোসেন ও বিল্লাল হোসেন।
বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতারা কয়লা ইউপি আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী প্রাথী ইমরান হোসেন ও খেসরার মুর্শিদা পারভিন জানান, তারা জনগনের প্রত্যাশার মুখে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। দল তাদের বহিষ্কার করলেও তা মেনেই নির্বাচন করবেন।