
অনলাইন ডেস্ক ::
কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় গুরুতর আহত শাহরিন আহমেদ ভয়ঙ্কর সেই স্মৃতি নিয়ে দেশে ফিরেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৪৮ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান শাহরিন।
সিভিল এভিয়েশনের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শাহরিন আহমেদকে বিমানবন্দর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হবে। সেখানে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকবেন তিনি।
এছাড়া ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় আহত অপর তিনজনকে শুক্রবার দেশে আনা হবে। কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস সাংবাদিকদের বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শুক্রবার যারা আসবেন তারা হলেন- মেহেদি হাসান মাসুম, তার স্ত্রী সৈয়দা কামরুন নাহার স্বর্ণা এবং নিহত আলোকচিত্রী এফএই প্রিয়কের স্ত্রী আলমুন নাহার অ্যানী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নেপালি চিকিৎসকরা ১০ বাংলাদেশির মধ্যে ছয়জনকে ছাড়পত্র দিয়েছেন। দুজনকে এখনও আইসিইউতে রাখা হয়েছে, একজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বার্ন ইউনিটে। আর একজনের ছাড়পত্র এখনও মেলেনি; তার পরিবার তাকে দিল্লিতে নিয়ে যেতে চাইছে।
এদিকে ওই ঘটনায় আহত ডা. রেজওয়ানুল হক শাওনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছে। বুধবার রাতে নেপাল থেকে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছে।
গত ১২ মার্চ ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করা ইউএস-বাংলার একটি উড়োজাহাজ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৭১ আরোহীর মধ্যে ৫১ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে চার ক্রুসহ ২৬ জন ছিলেন বাংলাদেশি।
নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে বাংলাদেশি ছাড়াও ২২ জন নেপালি এবং একজন চীনের নাগরিক রয়েছেন। নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের সংখ্যা দিয়ে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা।