
তৎপর হরিণ শিকারী চক্র
শেখ মনিরুজ্জামান মনু ::
সুন্দরবনের দুবলারচরে রাসপূজায় যেতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন সনাতন ধর্মালম্বীরা। সেই সাথে তৎপর রয়েছে হরিণ শিকারী চক্র। এ বছর করোনার কারনে কতৃপক্ষ রাসমেলা বন্ধ করে দিলেও রাসপূজা অনুষ্ঠিত হবে। রাসপূজায় যেতে পূর্ণার্থী ও দর্শণার্থীদের প্রস্তুতি চলছে। ২৮ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর তিন দিন ব্যাপী ভরা পূর্ণিমায় সুন্দরবনের দুবলারচর আলোরকোলে রাস পূজা অনুষ্টিত হবে। এ বছর সনাতন ধর্মালম্বীরা রাসপূজার যাওয়ার অনুমতি পাবেন । এশিয়ার সব চেয়ে বড় রাসমেলা হয়ে থাকে সুন্দর বনের দুবলারচরে। রাসপূজায় হাজার হাজার পূর্ণার্থী ও দর্শাণার্থীদের আগমনে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। রাসপূজায় যাওয়ার জন্য সনাতন ধর্মালম্বীদের মাঝে ট্রলার ভাড়াসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি চলছে। সনাতন ধর্মালম্বীরা পূর্ণিমার জোয়ারে সুমুদ্র জলে স্লানের মধ্যদিয়ে পাপমোচন হয়ে মনবাসনা পূর্ন করবেন । এখানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লঞ্চ, ট্রলার ও নৌকা যোগে তীর্থযাত্রী ও দর্শণার্থীরা এবং দেশী-বিদেশী পর্যটক সমবেত হয় । ওই রাসপূজাকে সামনে রেখে চোরা শিকারী চক্র সুন্দরবনের হরিণ শিকারের সুযোগ নেয়। তারা রাসপূজা শুরু হওয়ার আগে জেলে বা বনজীবি সেজে বনে হরিন শিকারের ফাদ,জাল,বড়শি রেখে আসে উপকরণ হিসাবে। কতৃপক্ষের ব্যাপক নজরদারী থাকলেও দর্শণার্থী ও নিরাপত্তা কর্মীরা যখন রাসপূজার আনন্দে মেতে থাকেন এই সুযোগে তাদের চোখ ফাকি দিয়ে হরিণ শিকার করে থাকেন। এ সময় হিরন পয়েন্ট,দুর্বারচর,আলোর কোলসহ বিভিন্ন চর ও সাগর মোহনায় পূর্ণার্থী ,দর্শাণী ও পর্যটক সহ হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘঠে। সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ডক্টর আবু নাসের মহাসিন হোসেন জানান, রাস মেলায় দর্শণার্থী ও তীর্থযাত্রীদের নিরাপদে যাতায়াতের জন্য সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ আটটি রুট নির্ধারন করেছে। এ সকল রুটে বন বিভাগ,পুলিশ,বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল দল তীর্থযাত্রী ও দর্শণার্থীদের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে । রাসপূজাকে ঘিরে অভিযান পরিচালনার জন্য সুন্দর বন পশ্চিম বনবিভাগে বিভিন্ন টিম গঠন করা হয়েছে । যাতে তীর্থযাত্রীরা নিবিঘেœ চলাচল করতে পারে। র্যাব সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষনিক টহলে নিয়োজিত থাকবে।