
আসাদুজ্জামান/ রাহাত রাজা ঃ
সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচনের প্রচারণাকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ ও আওয়ামী বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১১ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কুলিয়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। এ সময় ভাংচুর করা হয় ১০/১২টি মোটরসাইকেল।
আহতরা হলেন, বিদ্রোহী প্রার্থী ইমাদুল ইসলামের ভাই আসাদুল ইসলাম, ব্যক্তিগত ড্রাইভার সোহেল গাজী, সমর্থক কুলিয়া এলাকার মেম্বর মোশারফ হোসেন, আক্তারুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান, মুকুল ও আজিজ এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসাদুল হকের ছেলে শরীফ হোসেন, ওমর ফারুক, আরিফ বিল্লাহ ও মিঠু । আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইমাদুল ইসলাম জানান, তিনিসহ তার কর্মী-সমর্থকরা ইউপি নির্বাচনের প্রচারণা চালানোর জন্য মটর সাইকেলযোগে টিকেট যাওয়ার পথিমধ্যে কুলিয়া বাজার সংলগ্ন আশু মার্কেটের সামনে গেলে আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থী আসাদুল হকের ছেলে শরীফ হোসেনের নেতৃত্বে ৬০/৭০ জন হকিস্টিক, রড় ও রাম দা নিয়ে নিয়ে তাদের (ইমাদুলও তার কর্মী-সমর্থকদের) উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তার ৬জন কর্মী-সমর্থক আহত হন। এ সময় তার কর্মী-সমর্থকদের ১০/১২ টি মটরসাইকেলও ভাংচুর করা হয়। তিনি আরো জানান, তারা তার বাড়িঘর ভাংচুর ও তার জীবননাশেরও হুমকি দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন বলে জানান।
এদিকে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসাদুল হক জানান, ইমাদুলের লোকজন মিছিল নিয়ে পুষ্পকাটির দিকে যাচ্ছিল। এসময় তার ছেলে শরীফসহ তার কর্মী-সমর্থকরা আশু মার্কেট এলাকায় গণসংযোগ করছিল। হঠাৎ ইমাদুলের লোকজন শরীফসহ তার কর্র্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এতে তার ছেলেসহ পাঁচ কর্মী-সমর্থক আহত হন।
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে।
এদিকে, এ খবর পেয়ে দেবহাটা ইপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা বেগম ও এ-এসপি সার্কেল মীর মনির হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।###