
নাজমুল হক :
দেবহাটার কুলিয়ার টিকিটে সন্ত্রসী হামলার প্রতিবাদে একই স্থানে একই সময়ে সমাবেশ ডেকেছে দুই গ্রুপ। কুলিয়ার চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুল হকের নৌকার নির্বাচনী অফিস ভাংচুর ও নেতাকর্মীদের মারপিটের অভিযোগে কুলিয়া বাজারে সোমবার বিকেল ৪ টায় কুলিয়া বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছে। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমাদুল ইসলাম তার নেতাকর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে একই স্থানে সোমবার বিকেল ৪টায় মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করেছে।
কুলিয়া রিটানিং কর্মকর্তা জসিমউদ্দীন জানান, কোন পক্ষই নির্বাচনী আচারণ বিধি লঙ্ঘন করে সমাবেশ করতে পারবে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তহমিনা খাতুন জানান, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
দেবহাটা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, একই স্থানে একই সময় ডাকা প্রতিবাদ সমাবেশ বাতিল করা হয়েছে। এটি আচরণ বিধি লঙ্ঘন বিধায় কোন প্রার্থী সমাবেশ করবে না বলে প্রশাসনকে জানিয়েছেন। এলাকায় শান্ত পরিবেশ বজায় রয়েছে।
সূত্র জানায়, রোববার রাতে কুলিয়ার টিকিটে সন্ত্রাসী হামলায় কয়েকজন আহত হয়। কুলিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান প্রার্থী (আনারস প্রতীক) ইমাদুল ইসলাম জানান, টিকিটে আসাদুলের লোকজন আমার লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় কয়েকজন আহত হয়। রাতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর মোদাদছছের হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তহমিনা খাতুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আসাদুলের পুত্রকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের উদ্যোগে সোমবার বিকেল ৪টায় কুলিয়া বাজারে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। তবে কুলিয়ার চেয়ারম্যান প্রার্থী ( নৌকা প্রতীক) আসাদুল ইসলাম জানান, টিকিটে ইমাদুলের সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক নৌকার নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের সমার্থকদের পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিকেল ৪টায় কুলিয়ায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। এ বিষয়ে ইউনিয়নে মাইকিংও করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। কুলিয়া রিটানিং কর্মকর্তা জসিমউদ্দীন জানান, নির্বাচন আচারণ বিধি অনুযায়ী সমাবেশ করতে হলে ২৪ ঘন্টা পূর্বে অনুমতি নিতে হবে। নির্বাচন আচারণ বিধি লঙ্ঘন করে কোন পক্ষকে সমাবেশে করতে দেওয়া হবে না।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তহমিনা খাতুন জানান, নির্বাচনী আচারণ বিধি সমাবেশ সমার্থন করে না। জেলার দায়িত্ব প্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেককে অবহিত করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেও এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।