
আর.কে.বাপ্পা, দেবহাটা :
দেবহাটায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ের অভিশাপ থেকে রক্ষা পেল ৮ম শ্রেনীর এক ছাত্রী। সাথে সাথে রক্ষা পেল তার ভবিষ্যৎ ও শিক্ষা জীবন।
জানা গেছে, দেবহাটা বিবিএমপি ইনষ্টিটিউশান (পাইলট হাইস্কুল) এর ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী উপজেলা সদরের আজিজুল হক মিন্টুর কন্যা লিজা আক্তার (বেবী) কে তার মা জোরপূর্বক তার খালাতো ভাই শাখরা কোমরপুর গ্রামের মৃত গোলাম শেখের ছেলে মুকুল হোসেনের ছেলের সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য সোমবার আয়োজন করেন।
বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ মাহমুদ, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা হারুন-অর রশিদ, উপজেলা হিসাবরক্ষন কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মাহবুব মোর্শেদ লিজার বাড়িতে যেয়ে তার পিতা ও মাতার এবং স্কুলে যেয়ে লিজার জবানবন্দী গ্রহন করেন।
পরে লিজা বাড়িতে গেলে লিজার মা তাকে মারপিট করলে সে অসুস্থ হয় এবং মঙ্গলবার স্কুলে না যেয়ে বাড়িতে থাকে। ঘটনাটি স্কুল কর্তৃপক্ষ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানালে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মিসেস নাজমুন নাহার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে নিয়ে পুলিশের সহযোগীতায় লিজার মা রোজিনা খাতুন এবং তার খালু মুকুলকে আটক করে। পরে লিজার মা এবং খালু লিখিত মুচলেকা দিয়ে বিয়ে দেবেনা এবং লিজাকে স্কুলে পাঠানো হবে শর্তে ছেড়ে দেয়।
দেবহাটা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করে জানান, লিজার ভবিষ্যত জীবনের কথা চিন্তা করে তার মা এবং খালুর লিখিত মুচলেকা নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।