
আর কে বাপ্পা, দেবহাটা :
সাতক্ষীরার দেবহাটার বহেরায় দুই বাসের পাল্লাপাল্লিতে জীবন গেল সুরাইয়া খাতুন নামের এক স্কুল ছাত্রীর। অপর আর এক ছাত্রীকে জীবন সংকটাপন্ন অবস্থায় খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। বাস চালকদের কান্ডজ্ঞানহীন এই কর্মকান্ডে ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী দূর্ঘটনা কবলিত বাসটিতে অগ্নিসংযোগ করে এবং রাস্তা অবরোধ করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। প্রায় ২ ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকার পর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকাল ৯ টায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ সড়কের বহেরায় সোমবার সকাল ৯ টার দিকে সাতক্ষীরা থেকে কালীগঞ্জ অভিমুখে যাওয়া কক্সবাজার-জ ০৪-০০১৩ নম্বরের একটি যাত্রীবাহী বাস অপর এক যাত্রীবাহী বাসকে অতিক্রম করে আগে ওঠার সময় বহেরা এটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে পড়–য়া শশাডাঙ্গা গ্রামের আনিছুর রহমান মিঠুর মেয়ে সুমাইয়া ও খাসখামার গ্রামের আরশাদ আলীর মেয়ে আমিনা পারভিন নামক দুই স্কুল ছাত্রী চাপা পড়ে। এসময় ওই ছাত্রীরা সাইকেলে করে স্কুলে যাচ্ছিলো।
এ ঘটনায় পথচারীরা ঘাতক বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। মারাত্মক আহত সুমাইয়া খাতুন ও আমেনা খাতুনকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথমে আমেনাকে খুলনায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সুমাইয়াকে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুপুর আড়াইটার দিকে সেখানেই সে মৃত্যুবরন করে। এ খবর স্কুলে ও তার পরিবার এবং এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শোকের পাশাপাশি উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বহেরা এটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিভূতিভূষন দত্ত সুমাইয়ার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন। দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গাড়ি দুটি পাল্লা দিয়ে সাতক্ষীরা থেকে কালিগঞ্জ অভিমুখে যাচ্ছিল।
এসময় বহেরা এটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্রী সুমাইয়া খাতুন ও আমেনা খাতুন একটি বাইসাইকেলে স্কুলে যাচ্ছিল। আগে ওঠার এই পাল্লাপাল্লির সময় তারা দুইজনেই একটি গাড়ির নিচে চাপা পড়ে। এতে গুরুতর আহত হয় তারা। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ পথচারীরা গাড়ি দুটিতে হামলা করে একটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ গাড়িটি আটক করেছে যার নং (কক্সবাজার জ ০৪-০০১৩)। পরে সাতক্ষীরা থেকে ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি যেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
##