
নাজমুল হক :
ফেনসিডিল মামলায় আসামী মায়ের সাথে হাজতবাস করতে হলো ১৩ মাসের শিশু কণ্যা সুরাইয়ার। ঐ শিশু দেবহাটার গ্রামের সখিপুর গ্রামের আমিরুল ইসলাম ও রহিমা বেগমের কণ্যা। সাতক্ষীরা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর বুধবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে আমিরুল ইসলামের বাড়ি থেকে ৯০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা আমিরুল বাড়িতে না থাকায় রহিমা বেগমকে আটক করে দেবহাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়। তার শিশু কণ্যা থাকায় তাকেও নেওয়া হয় থানায়।
সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেবহাটার সখিপুর এলাকার আমিরুল ইসলামের বাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ঘরের বাঙ্কার থেকে কয়েক বস্তায় ৯০০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয় অভিযানে ছিলেন সাতক্ষীরা মাদক দ্রব্যনিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শেখ মো. হাশেম আলী, ইনসপেক্টর জি এম নাসির উদ্দীন, এসআই আশরাফুল হক , এএসআই আব্দুল মুজিদ প্রমুখ। অভিযানের পূর্বেই মাদক ব্যবসায়ী আমিরুল ও তার সহযোগী একই এলাকার আবু বক্করের ছেলে আশরাফ আলী পালিয়ে যায়। বাড়ি থেকে আমিরুল ইসলামের স্ত্রী রহিমা বেগমকে (৩৫) করা হয়। এ সময় তার শিশু সুরাইয়াকেও থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে দেবহাটা মাদ্রক দ্রব্যনিয়ন্ত্রণ আইনে আমিরুল ইসলাম, তার স্ত্রী রহিমা বেগম ও একই এলাকার আবু বকরের পুত্র আশরাফ আলীকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়।
সাতক্ষীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক জি এম নাসিরুজ্জামান জানায়, অভিযানে ৯০০ বোতন ফেনসিডিল আটকের ঘটনায় তিন জনের নামে মামলা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে রহিমা খাতুনকে আটক করা হয়। তার কোলে শিশুকণ্যা থাকায় তাকেও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দেবহাটা থানার ডিটটি অফিসার সরোয়ার হোসেন জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রনের অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা শিশু সুরাইয়াসহ তার মা রহিমাকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে। এ বিষয়ে মামলা হচ্ছে।