
আর.কে.বাপ্পা, দেবহাটা ::
২০১৬ সনের ১৪ মার্চ নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে হেযবুত তওহীদের দুই সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা, বাড়িঘর লুটপাট ও ধ্বংসযঞ্জের সাথে জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়ে দেবহাটা প্রেসক্লাবে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় হেযবুত তওহীদের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হেযবুত তওহীদের সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি শেখ মনিরুল ইসলাম বলেন, হেযবুত তওহীদ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠালগ্ন অর্থাৎ ১৯৯৫ সাল থেকেই এক শ্রেণির ধর্মব্যবসায়ী বিরোধিতায় অবতীর্ণ হয়েছে। তাদের অপপ্রচারে বহু জায়গায় বহুবার আমরা আক্রান্ত হয়েছি। আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদেরকে লক্ষ্যবস্তু বানানোর কারন একমাত্র আমরাই এদেশে ধর্মের দোহাই দিয়ে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদসহ ধর্মের নামে প্রচলিত প্রতিটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিজেদের জীবন সম্পদ উৎসর্গ করে আদর্শিক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা এই সত্য মানুষের সামনে তুলে ধরায় যারা ধর্মকে তাদের রুটি রুজি ও কায়েমী স্বার্থের হাতিয়ার বানিয়ে নিয়েছে তাদের মুখোশ জনসম্মুখে খুলে যাচ্ছে, জনসাধারণের উপর থেকে তাদের প্রভাব হারিয়ে যাচ্ছে। তিন বলেন, দুই বছর আগে সোনাইমুড়িতে স্থানীয় দাঙ্গা সৃষ্টিকারী আলেমরা নিকটবর্তী এলাকার বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে তাদের ছাত্রদেরকে নিয়ে হেযবুত তওহীদের মাননীয় এমামের বাড়িতে আক্রমন করে। সেখানে পনের বছর থেকে অপপ্রচার চালানো হয়েছে যে হেযবুত তওহীদের সদস্যরা নাকি নামাজ পড়ে না। তাদের এই কথাটি সর্বৈব মিথ্যা। কারন আমরা যথাযথভাবেই নামাজ পড়ি, কেবল যে ইমামগণ নামাজ পড়ানোর বিনিময়ে অর্থ গ্রহণ করেন তাদের পেছনে পড়ি না। এর কারণ আল্লাহ ধর্মীয় কাজের বিনিময় গ্রহনকে হারাম করেছেন। ধর্মব্যবসায়ীদের এই রটনা যে ভুল তা মানুষের সামনে সুস্পষ্ট করার জন্য আমরা একটি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেই। তখন ধর্মব্যবসায়ীরা নতুন করে প্রচারে নামে যে, ‘হেযবুত তওহীদ খ্রিষ্টান, তারা গির্জা নির্মাণ করছে’। তারা সকাল থেকে স্থানীয় কয়েকটি মসজিদের মাইকে বলতে শুরু করল যে, ‘গির্জা ভাঙ্গো খ্রিস্টান মারো।’ তাদের উসকানিতে স্থানীয় জামায়াত, শিবির, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, হেফাজতে ইসলামের সন্ত্রাসীরাসহ মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকগণ নির্মাণাধীন মসজিদটিকে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিল। চার পাঁচ ঘণ্টা ধরে আমাদের উপর চালানো আক্রমনে সন্ত্রাসীরা পুলিশের সামনেই সোলায়মান খোকন ও ইব্রাহীম রুবেল নামে আমাদের দুজন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করে। সাংবাদিক সম্মেলনে তারা এই নৃশংস ঘটনার সুষ্টু বিচার দাবী করেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীদের দেবহাটা থানা সভাপতি মফিজুল ইসলাম, সদর থানা সভাপতি নুর আলম প্রমুখ।