
আবুল কাসেম :
সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা হওয়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন সাংবাদিকরা। মানববন্ধন চলাকালে সাংবাদিক নেতারা অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। একই সাথে ৫৭ ধারার এই কালো আইন বাতিলেরও দাবি জানিয়েছেন তারা।
সম্প্রতি আশাশুনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি মোস্তাকীমের অনুসারী জনৈক মহিউদ্দিন বাদি হয়ে সাতক্ষীরার স্থানীয় দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় সাতক্ষীরা আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। আদালতের বিচারক মামলাটি এজহারভূক্ত করার জন্য সদর থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেন।
মামলা দায়েরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন সাংবাদিকরা। রোববার বেলা ১১ টায় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। জেলা পর্যায়ের সাংবাদিকদের সাথে কর্মসূচীতে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত শতাধিক সাংবাদিক অংশগ্রহন করেন।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারন সম্পাদক এম কামরুজ্জামান,অধ্যাপক আবু আহমেদ,কল্যাণ ব্যানার্জী,সূভাষ চৌধুরী, মমতাজ আহমেদ বাপ্পী, অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, ইয়ারব হোসেন, আবুল কাসেম, অসীম চক্রবর্তী, আব্দুল জলিল, হাফিজুর রহমান মাসুম, রঘুনাথ খাঁ ও ৮টি উপজেলার প্রেসক্লাবের প্রতিনিধিগন। বক্তারা অবিলম্বে দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার এবং ৫৭ ধারাকে কালো আইন আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবি জানান। অন্যথায় দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন তারা। এছাড়া মিথ্যা ও হয়রানীমুলক মামলা দেয়ায় বাদীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানানো হয়।
বক্তারা বলেন, শুধু হাবিবুর রহমান হাবিব নয়, সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মনি, অসীম বরণ চক্রবর্তী, সামিউল মনির, মহাশিন, রবিউল ইসলামের নামে দায়েরকৃত তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
প্রসঙ্গত, আশাশুনি সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট না দেয়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও বিজয়ী প্রার্থী স ম সেলিম রেজা মিলনের কর্মী-সমর্থকদের হামলায় গ্রাম ছাড়া হন শতাধিক হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। এনিয়ে দৈনিক সাতনদী পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশিত হয়। এর প্রেক্ষিতে ৩ এপ্রিল জনৈক মহিউদ্দীন ৫৭ ধারায় মামলা রেকর্ডের আদেশ চেয়ে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। যার সিআরপি নং-১০৯/১৬।বিচারক হাকিম সাতক্ষীরা সদর থানার ওসিকে মামলা রেকর্ডের আদেশ দেন। পরবর্তীতে মামলাটি থানায় রেকর্ড হয়েছে।