নষ্ট খাবার দিয়ে চলছে রাবির আমীর আলী হলের ডাইনিং!


754 বার দেখা হয়েছে
Print Friendly, PDF & Email
নষ্ট খাবার দিয়ে চলছে রাবির আমীর আলী হলের ডাইনিং!
ডিসেম্বর ৪, ২০১৫ জাতীয় ফটো গ্যালারি
Print Friendly, PDF & Email

আব্দুর রহমান আশিক, রাবি প্রতিনিধি :
বাজারের সবচেয়ে নি¤œ মানের সবজি, চাল দিয়ে চলছে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় (রাবি) আমীর আলীর হলের ডাইনিং-ক্যান্টিন। ফলে হলের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে সময় নষ্ট করে রুমে রান্না অথবা বাইরের কোন ফুটপাতের দোকানে বাড়–িত টাকা গুনে খাবার খেতে হচ্ছে। বিশ^বিদ্যালয় হল প্রভোস্টের অবহেলার কারনে এমনটাই হচ্ছে বলে দাবি করেছে হলের শিক্ষার্থীরা।

এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীরা হলের ডাইনিং পরিচালককে একাধিকবার অবহিত করলেও বিষয়টি তাঁরা কোন আমলে আনেনি। সর্বশেষ শুক্রবার দুপুরে শিক্ষার্থীরা হলের অভ্যন্তরে বিক্ষোভ-মিছিল করে হল প্রভোস্টের রুমে প্রবেশ করে। এসময় হলের হাউস টিউটর খাবরের মান ভালো করা হবে বলে শিক্ষার্থীদের আশ^স্ত করলে তাঁরা শান্ত হয়।  এসময় হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম সজল ও সাধারণ সম্পাদক সৈকত হুসাইন উপস্থিত ছিলেন।

 

20151204_113831
শুক্রবার হলের ডাইনিং পর্যবেক্ষন করে দেখা যায়,  রুমের কয়েক জায়গায় কাটা পচাঁ মুলা, আলু ছড়িয়ে ছিটে আছে। সেখান থেকে কিছু আলু ধুয়ে পরিষ্কার করে দুপুরের খাবারের জন্য ভর্তা করা হয়েছে। অন্যদিকে গন্ধযুক্ত আলুর স্তুপ থেকে তরকারি রান্না করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে কর্মচারিরা। একই দৃশ্য দেখা গেল হলের ক্যান্টিনে গিয়ে। খাবারের এমন বেহাল দৃশ্য শিক্ষার্থীরা সরাসারি দেখে বিক্ষোভ-মিছিল শুরু করে। পরে হলের হাউস টিউটর এসে বিষয়টি শান্ত করেন। সাথে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত হলের ডাইনিং বন্ধ রাখা হয়।

হলের শিক্ষার্থীরা বলেন, হলের ডাইনিং-এ খেতে গেলে পচাঁ চালের গন্ধ আসে। বাজারে নিত্য-নতুন অনেক সবজি পাওয়া যায় কিন্তু ভালো সবজি না এনে সবচেয়ে খারাপ সবজি  ক্রয় করে নিয়মিত খাবার পরিবেশন করে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হলের শিক্ষার্থী লিটন সরকার বলেন, হলের ক্যান্টিন ও ডাইনিং-এ পর্যাপ্ত টাকা নিয়েও আমাদের নিকট খারাপ খাবার পরিবেশন করছে। এ ব্যাপারে তাদেরকে কয়েকবার জানালে আমাদের বলা হয়, সামনের দিকে ভালো খাওয়াবে। প্রতিদিন ‘সিলবার কাপ’ আর ‘পাঙ্গাস’ মাছ কিনে রুই মাছ বলে  চালায়। ফলে আমাকে সময় নষ্ট করে বাধ্য হয়ে অন্য হলে খাবার ও রুমে রান্না করতে হয়।

হলের ডাইনিং পরিচালক হাশেমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পঁচা আলু আলাদা করে রাখা হয়েছে। আমি কখনো এসব আলু শিক্ষার্থীদের খাওয়াই না।

হল প্রভোস্ট মুস্তফিজুর রহমান জানান, আমি হলের বাইরে আছি এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবো না।

তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলের হাউস টিউটর মোখলেছুর রহমান বলেন, আমি বিষয়টি পর্যবেক্ষন করে দেখলাম। এ বিষয়ে আগামী কালকে মিটিংয়ে বসা হবে। নি¤œমানের খাবার খাওয়ানোর জন্য যারা দায়ী তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।