না ফেরার দেশে শাহীন ব্যাপারীও


646 বার দেখা হয়েছে
Print Friendly, PDF & Email
না ফেরার দেশে শাহীন ব্যাপারীও
মার্চ ২৬, ২০১৮ জাতীয় ফটো গ্যালারি
Print Friendly, PDF & Email

অনলা্ইন ডেস্ক ::
নেপালে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্তের ঘট্নায় আহত শাহীন ব্যাপারী (৪২) প্রায় দুই সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে হেরে গেলেন। দুই দফা অস্ত্রোপচারের পরও না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে সোমবার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দুপুর থেকেই ‘লাইফ সাপোর্টে’ ছিলেন শাহীন।

আহত অবস্থায় নেপাল থেকে দেশে আনার পর শাহীন ব্যাপারী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘ভাবি নাই বাঁচব’; কিন্তু বাঁচানো গেল না তাকে।

সোমবার বিকেলে সাংবাদিকদের তার মৃত্যুর খবর জানান বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়কারী সামন্ত লাল সেন। তিনি জানান, দেশে আনার পর থেকেই শাহীন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিলেন। সোমবার দুপুর থেকে শাহীনের অবস্থা অবনতি হতে থাকে। পরে তাকে দ্রুত লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। কিন্তু সেখানেও পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক ছিল।

গত ১২ মার্চ নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয় বেসরকারি এয়ারলাইনস ইউএস-বাংলার একটি উড়োজাহাজ। ওই দুর্ঘটনায় শাহীনের আগে ২৬ বাংলাদেশিসহ ৫১ জন নিহত হয়েছেন। বিমানটিতে ৭১ আরোহী ছিলেন। শাহীনের মৃত্যুর পর ওই দুর্ঘটনায় বাংলাদেশিদের মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৭ জনে।

গত ১৮ মার্চ কাঠমান্ডু থেকে দেশে আনা হয় শাহীনকে। দেশে আনার পরই তাকে দ্রুত নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে।

শাহীনের বাড়ি মুন্সীগঞ্জে। তিনি ঢাকার সদরঘাটে ‘করিম এন্ড সন্স’ নামে একটি কাপড়ের দোকানে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন; স্ত্রী রিমা ও আট বছরের মেয়ে সূচনাকে নিয়ে থাকতেন নারায়ণগঞ্জের আদমজীতে একটি বাসায়।