
আব্দুর রহমান আশিক, রাবি প্রতিনিধি:
নির্বাচনকে শুধুমাত্র গণতন্ত্রের পাল্লায় মাপা ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, ৯০ এর পর চারটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হলেও প্রতিপক্ষকে রাজনীতির মাঠ থেকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে। পাকিস্তান আমলের জঞ্জালকে পরিষ্কার না করে আরো আগলে রাখা হয়েছে। তাই জঞ্জাল পরিষ্কার করা ছাড়া ‘সকলের অংশগ্রহণে নির্বাচন’ কোনো সমাধান দেয়নি, দেবেও না।
বৃহস্পতিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে রসায়ন বিভাগ আয়োজিত শহীদ শামসুজ্জোহা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পলিটিক্যাল স্পেস দেওয়ার বিষয়ে ইনু বলেন, গণতন্ত্র মানেই সবার সমান অধিকার নয়। তাহলে কারাগার থাকতো না, বিচারালয় থাকতো না। তিনি বলেন, দেশকে জঙ্গিমুক্ত করতে ৭১ ও ৯০ এর মতো সমগ্র জাতিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
স্বাধীনতার পর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিগুলো এক কাতারে এসে দাঁড়াতে পারেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ফলে স্বাধীনতা বিরোধীরা নানা ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পেয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেল হত্যা, বাকশাল ও জাসদের নেতাকর্মীদের কারাবন্দী করা এসব ষড়যন্ত্রের অংশ।
রসায়ন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মিজানউদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপচার্য প্রফেসর চৌধুরী সারওয়ার জাহান, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর সায়েন উদ্দিন প্রমুখ।
এসময় বিশ^বিদ্যালয় উপাচার্য ড. মিজানউদ্দিন বলেন, ড. শামসুজ্জোহা ছিলেন দেশের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী। ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানের উত্তাল দিনে নিজের জীবন উৎসর্গকারী জোহা শিক্ষার্থী তথা দেশের জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন তা সবার জন্য আদর্শ। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমরা আজও ড. জোহার আত্মত্যাগের প্রতিদান দিতে পারিনি। ১৮ ফেব্রুয়ারি জোহার মৃত্যুদিবসকে জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করার দাবি আমাদের দীর্ঘদিনের। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এ দিনটিকে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করলেও জাতীয়ভাবে তা পালন করা হয় না’। এ সময় তিনি ড. জোহার আত্মত্যাগের স্মরণে দিবসটিকে জাতীয় শিক্ষক দিবস করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, ড. শামসুজ্জোহা দেশের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী। যিনি ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর থাকাকালে পাক বাহিনীর গুলিতে তিনি শহীদ হন। তারপর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দিবসকে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।