
অনলাইন ডেস্ক ::
প্রবাসীদের ভোটাধিকার এবং দেশ ও প্রবাসের বিখ্যাত ব্যক্তিদের পড়ন্ত বয়সে চিকিৎসার দায়িত্ব রাষ্ট্র গ্রহণ করবে— রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে এমন অঙ্গীকার চায় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীরা।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রধান দুই জোটের নির্বাচনী ইশতেহার শিগগিরই প্রকাশিত হবে জানার পরই এ বিষয়ে নিজেদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন যু্ক্তরাষ্ট্র প্রবাসীরা। খবর এনআরবি নিউজের।
মূলধারার রাজনীতিক ও সমাজসেবক হাসানুজ্জামান হাসান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘জীবিকার তাগিদে আমরা যারা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছি, তাদেরকে মাতৃভূমির কাছে থেকে বিচ্ছিন্ন করার সুযোগ নেই। সে আলোকেই ভোটাধিকার প্রদান করা জরুরি। বিগত কয়েক বছরে এ দাবি বিভিন্নভাবে উচ্চারিত হয়েছে, জাতীয় সংসদে আলোচনাও হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে কোনো বিধি তৈরি হয়নি। আসন্ন নির্বাচনে যেহেতু সকল দল ও পথের লোকজনই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাই প্রতিটি দল যদি নির্বাচনী ইশতেহারে এ বিষয়টি যুক্ত করে তাহলে সহজেই বাস্তবায়িত হবে।’
একই আহ্বানের সঙ্গে নতুন একটি বিষয় যুক্ত করার অনুরোধ এসেছে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের যুক্তরাষ্ট্র শাখা, আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাব এবং ফ্লোরিডাস্থ বহুজাতিক একটি সংস্থার পক্ষ থেকে। দাবিটি হচ্ছে— প্রবীণদের চিকিৎসার জন্যে সুনির্দিষ্ট একটি ব্যবস্থা করার বিষয়টি নির্বাচনী ইশতেহারে যুক্ত করা। এ অনুরোধ জানিয়েছেন সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ এবং সেক্রেটারি মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বারি, প্রধান উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা ড. নূরন্নবী, উপদেষ্টা কণ্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায় এবং শহীদ হাসান, আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার এবং সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম, বাই ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট আতিকুর রহমান, মূলধারার রাজনীতিক গিয়াস আহমেদ প্রমুখ।