নেপালি বিমানের ২৩ আরোহীর ‘সবাই নিহত’


415 বার দেখা হয়েছে
Print Friendly, PDF & Email
নেপালি বিমানের ২৩ আরোহীর ‘সবাই নিহত’
ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৬ প্রবাস ভাবনা ফটো গ্যালারি
Print Friendly, PDF & Email

ভয়েস অব সাতক্ষীরা ডটকম ডেস্ক :

নেপালের পোখারা থেকে জমসম যাওয়ার পথে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের ২৩ আরোহীর সবার মৃত্যু হয়েছে বলে দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে।

নেপালি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তারা বাহাদুর কর্কির বরাত দিয়ে কাঠমান্ডু পোস্টের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চার ঘণ্টা অনুসন্ধানের পর উড়োজাহাজটির  ডানা ও লেজের অংশ খুঁজে পেয়েছেন তারা।

নিহত যাত্রীদের মধ্যে চীন ও কুয়েতের দুই নাগরিক ছাড়াও দুটি শিশু ছিল বলে স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা হরিহর যোগী জানিয়েছেন।

নেপালের বিমান পরিবহনমন্ত্রী আনন্দ প্রসাদ পোখরেল জানান, মিয়াগদি জেলার কেকারদি বুট্টা বনে উড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়।

তখনো বিধ্বস্ত বিমানে আগুন জ্বলছিল বলে মিয়াগদি পুলিশের সুপার বিশ্ব রাজ খাড়কা জানান।

স্থানীয় পুলিশ কনস্টেবল ফুল কুমার থাপা জানান, উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ ২০০ মিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। বনটি দুর্গম হওয়ায় ও ঠাণ্ডা খুব বেশি থাকায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।

কাঠমান্ডু পোস্ট জানায়, বুধবার সকাল ৭টা ৪৭ মিনিটে পোখরা রওনা হওয়ার দশ মিনিটের মাথায় তারা এয়ারের ভাইকিং নাইন-এন এএইচএইচ টুইন অটার উড়োজাহাজটির সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

হিমালয় পাদদেশের দুর্গম মিয়াগদি জেলার একটি এলাকায় বনের মধ্যে আগুন জ্বলার খবর পেয়ে পুলিশের একটি দলকে সেখানে পাঠানো হয়। দুটি হেলিকপ্টারও তল্লাশিকাজে অংশ নেয়।

পোখারা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের প্রধান যশোধা সুবেদি বলেন, গোরেপানি এলাকা ছাড়ার পর উড়োজাহাজটির সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। ওটাই পোখারার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগের শেষ সীমা। এরপর জমসম বিমানবন্দর দায়িত্ব নেওয়ার কথা ছিল।”

ওই সময় বিমানটির পাইলট পোখরা এয়ার ট্রাফিককে ‘সি ইউ ব্যাক, গোরেপানি নর্মাল’ বলেন।

এরপর জমসম বিমানবন্দরের ট্রাফিক কন্ট্রোল উড়োজাহাজটির কোনো সঙ্কেত পায়নি বলে জানালে তৈরি হয় শঙ্কা।

কাঠমান্ডু পোস্ট লিখেছে, বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা প্রথমে ভেবেছিলেন, খারাপ আবহাওয়া কিংবা অন্য কোনো কারণে চালক হয়তো বিমান অন্যপথে নিয়ে গিয়েছিলেন।

কিন্তু পরে উড়োজাহাজের খোঁজ না পাওয়ায় দুই বিমানবন্দর পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিমান নিখোঁজের বিষয়ে নিশ্চিত হয়।

তারা এয়ার জানিয়েছে, তারা গত সেপ্টেম্বরে নতুন ওই উড়োজাহাজ দিয়ে ফ্লাইট চালানো শুরু করে।