
পলাশ কর্মকার, কপিলমুনি :
পল্লী বিদ্যুতের কপিলমুনি অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ নূর আলমের দুর্ব্যবহার ও এলাকায় পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখায় মারাত্মকভাবে ক্ষুব্দ হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। শুধু তাই নয়, বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় চরম খামখেয়ালীপনা ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ঠ জেএসসি পরীক্ষার্থীসহ তাদের অভিভাবকরা। ফলে ইনচার্জ নূরআলমকে অন্যত্রে বদলীর দাবী জানিয়েছেন ভূক্তভোগীমহল।
গ্রাহক ও অভিভাবক মহলের অভিযোগ, অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ নূরআলম পাইকগাছার কপিলমুনিতে যোগদানের পর থেকে এলাকার অসংখ্য গ্রাহকের সাথে তিনি খারাপ আচারণ করে আসছেন। তার স্বেচ্ছাচারিতা ও অসাদাচারণে বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। প্রায় দেখা যায়, কপিলমুনির পার্শ্ববর্তী গোনালী, ঘোষনগর, মাগুরখালী, আগড়ঘাটা ও গদাইপুর এলাকায় বিদ্যুৎ থাকলেও বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর বসবাস খুলনার দক্ষিণের শ্রেষ্ঠ বাণিজ্যিক মোকাম কপিলমুনিতে নূর আলম ইচ্ছে করেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখেন। গত ২১ ও ২২ অক্টোবর পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই এলাকায় সকাল ৭ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়। অভিযোগ রয়েছে, এই এলাকায় বসতঘর ব্যতীত সে খুটিতে মিটার লাগিয়ে অবৈধ পথে মোটাংকের অর্থ হাতিয়ে নেন। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ভয়ে সহসা তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চান না ।
এলাকাবাসী বলছেন, খুটিতে মিটার সংযোগ দেওয়ার কারণে যে কোন সময় বিদ্যুতের শর্টসার্কিট হয়ে প্রাণহানীসহ ঘটতে পারে মারাত্মক দূর্ঘটনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রাহক বলেন, ‘নূর আলম প্রতিটি নতুন মিটার সংযোগের সময় ঘুষ নিয়ে থাকেন। যদি কোন গ্রাহক ঘুষ দিতে না চান তাহলে তার মিটার সংযোগ দিতে টালবাহানা করা হয়। তারপর আবার দরাদামে বনে গেলে দেওয়া হয় সংযোগ।’
জানাগেছে, টাকার বিনিময়ে নাকি সব কিছুই ম্যানেজ করে ফেলেছেন দূঃব্যবহারে সীমালংঘনকারী সু-চতুর নূর আলম। এতে করে বিদ্যুৎ সেবাভোগীদের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এ ব্যাপারে ভূক্তভোগীরা তাকে অন্যত্রে বদলীর জোর দাবীসহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।