
এস এম আলাউদ্দীন সোহাগ ::
মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে অন্তত ৬ জনের পকেট থেকে এক এক করে খোয়া গেলো দামী মোবাইল ও মানিব্যাগ। প্রতিটি মানিব্যাগেই ছিলো টাকা।
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়ন এলাকায় “ম্যারাথন পকেটমার” এর ঘটনাটি এলাকায় হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ আগষ্ট) সকালে কপিলমুনি বদ্ধভূমি সৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী খালিদ হোসেন। এসময় সেখানে সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান বাবু, কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওসার আলী জোয়ার্দারসহ দলীয় নেতাকর্মী ও সুধীজনরা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী স্থান ত্যাগ করার পর অনেকে তাদের নিজস্ব পকেটে হাত দিয়ে আক্কেলগুড়ুম হয়ে ওঠেন।
স্বল্প সময়ের মধ্যে কপিলমুনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি যুগল কিশোর দের পকেট থেকে ১হাজার ৮শ, কপিলমুনি স্থানীয় সাংবাদিক তপন পালের ৫ হাজার,কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওসার আলী জোয়ার্দারের ৯ হাজার টাকা পকেটমার হয়ে যায়।
ওই সময়ই কপিলমুনি প্রেস ক্লাবের সেক্রেটারি আবদুর রাজ্জাক রাজু ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমীরণ সাধুর মোবাইল ফোন খোয়া যায়।
পরবর্তীতে ঘটনাস্থল ও এর আশপাশে স্থির চিত্র সংগ্রহ করে দেখা যায়, মাস্ক পরিহিত এক ব্যক্তি কপিলমুনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি যুগল কিশোর দে’র পকেটেহাস্ত করছে। ছবিতে আওয়ামী লীগ নেতার পাশে যাদেরকে দেখা গেছে তাদের কারো মানিব্যাগ ও মোবাইলফোন উধাও হয়ে গেছে।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, পকেটমার এতো সুকৌশল ও সুযোগের সদব্যবহার করেছে যে, সামনে দাড়ানো থানার ওসিও ক্ষুণাখরে পকেটেমার হচ্ছে তা বুঝতে পারেনি। স্থানীয়রা তাদের প্রতিক্রিয়ায় ঘটনাটিকে “ম্যারাথন পকেটমার” বলে অভিহিত করেছেন।
ভুক্তভোগী প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রাজু জানান, প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন তার মোবাইলটি ভীড়ের মাঝে হারিয়ে গিয়েছে। তবে পরবর্তীতে অন্যান্যদের পকেটমারির ঘটনা ও ছবিতে দেখে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন তার মোবাইলটিও পকেটমারি হয়েছে।
পাইকগাছা থানার ওসি জিয়াউর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সর্বোচ্চ ১৫/২০ মিনিটের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে। এতো ভিড়ে পকেটমার হয়েছে কেউ বুঝতে পারেনি। তিনি জানান, মুখে মাস্ক থাকায় তাৎক্ষণিক ব্যক্তিকে চেনা সম্ভব হয়নি। তবে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, অতি পেশাদার পকেটমারের বাড়ি ডুমুরিয়া উপজেলা এলাকায়। তাকে আটকে তৎপরতা শুরু হয়েছে।