
খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচন
॥ পলাশ কর্মকার ॥
আসন্ন খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে পাইকগাছা ৩ নং ওয়ার্ড থেকে সদস্য পদে প্রার্থী কপিলমুনি প্রেসক্লাবের সাধোরণ সম্পাদক, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী আব্দুর রাজ্জাক রাজু বলেছেন, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে নির্বাচিত হয়ে টাকার কাছে ভোটারদের কেউ কেউ নিজেকে বিক্রি করে দিচ্ছেন। তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, একদিনের জন্য সামান্য টাকার কাছে নিজেকে সপে দিয়ে ৫ বছরের জন্য জনগণের আমানত খিয়ানত করবেন না। তিনি বর্তমান সরকারের উন্নয়ন-অগ্রগতিকে সচল রাখতে এবং দূর্নীতিমুক্ত জেলা পরিসদ গঠনে সঠিক ও যোগ্য ব্যাক্তিকে ভোটদানের জন্য জনপ্রতিনিধি তথা ভোটারদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
তিনি নিজেকে বঞ্চিত মানুষের কাতার থেকে উঠে আসা সাধারণ মানুষ দাবি করে ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, আজ যারা সামান্য টাকা দিয়ে ধর্মীয় গ্রন্থ ব্যাবহার করছেন, কাল তারা নির্বাচিত হলে সাধারণ মানুষ তাদের কাছ থেকে কি আশা করতে পারে।
মঙ্গলবার কপিলমুনি প্রেসক্লাবে স্থানীয় সর্বস্তরের কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত সাংবাদিকরা তাদের বক্তব্যে বলেন, গাজী আঃ রাজ্জাক রাজু শুধু রাজনৈতিক দলের সদস্য নয়, তিনি এক সাথে একজন সংবাদকর্মী। দল ও দলের বাইরে তিনি একজন সংবাদকর্মী হিসিবে প্রথম থেকেই সাধারণ নীপিড়িত, বঞ্চিত মানুষের পক্ষে কথা বলেন। তরুণ সমাজ সেবক হিসেবে উপজেলাবাসীর কাছে সর্বজনবিদিত মানুষ। তিনি নির্বাচিত হলে কাজ করতে সার্বক্ষণিক সাধারণ মানুষের জন্য সময় দিতে পারবেন। এসময় তারা বলেন, আওয়ামীলীগের দুঃসময়ের কান্ডারী হিসেবে বর্তমান খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) সংসদ সদস্য আলহাজ্জ আক্তারুজ্জামান বাবুর আস্থাভাজন। সেক্ষেত্রে তিনি নির্বাচিত হলে জেলা পরিষদের পাশাপাশি এমপি’র মাধ্যমে এলাকার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ত্বরান্বিত হবে।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী এস,এম, মুস্তাফিজুর রহমান পারভেজ, দীপ্ত নিউজ২৪.কম’র সম্পাদক ও প্রকাশক শেখ দীন মাহমুদ, সাংবাদিক মুন্সী রেজাউল করিম মহব্বত, দৈনিক পূর্বাঞ্চল’র কপিলমুনি নিজস্ব সংবাদদাতা পলাশ কর্মকার, এইচ,এম শফিউল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম বজলু, মিলন দাশ, তপন পাল, শেখ নাদীর শাহ্, মনিরুল ইসলাম মনি, অলিউল্ল্যাহ, শেখ আব্দুল আলীম, প্রীতিশ মন্ডল, আব্দুস সালামসহ অন্যান্যরা।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, এবারের নির্বাচনে জেলা পরিষদের ওয়ার্ড সংখ্যা কমিয়ে আনায় পাইকগাছাকে ৩ নং ওয়ার্ড ঘোষণা করে খোনকার ১০ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভাকে সম্পৃক্ত করায় মোট ভোটার সংখ্যা ১৪৬ টি। প্রসঙ্গত, পাইকগাছা ৩ নং ওয়ার্ড থেকে এবার মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও ইতোমধ্যে একজন প্রার্থী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণ পদ মন্ডল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ায় সর্বশেষ ৪ জন প্রার্থী পরষ্পরকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে জেলা পরিষদের সাবেক নির্বাচিত দু’দুজন সদস্য এবার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তম্মধ্যে আব্দুল মান্নান গাজীর স্থলে তারই ছোট ভাই রবিউল ইসলাম নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। অন্যদিকে অপর নির্বাাচিত সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুল হাসান টিপু নির্বাচন থেকে সরে আসায় প্রার্থী হয়েছেন তারই ভ্রাতুষ্পুত্র আইনজীবি শেখ তৈয়ব হোসেন নূর। সেক্ষেত্রে হেভিওয়েটদের দু’জন সদস্য নির্বাচন থেকে সরে আসায় ত্রি-মুখী নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে ওয়ার্ডে। এলাকাবাসী ধারনা করছেন আব্দুর রাজ্জাক রাজুর সাথে এ্যাড. শেখ তৈয়েব হোসেন নূর ও রবিউল ইসলামের মধ্যে ত্রিমুখী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। সর্বশেষ স্থানীয় সংবাদকর্মীরা গাজী আব্দুর রাজ্জাক রাজুর পক্ষে সমর্থন দিয়ে ভোটারদের কাছে তার জন্য ভোট প্রার্থনা করেছেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সকলের প্রত্যাশা আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে পাইকগাছা ৩ নং ওয়ার্ড থেকে সর্বোচ্চ সমর্থন পেয়ে রাজ্জাকই নির্বাচিত হবেন। ততক্ষণে অপেক্ষা করতে হবে ১৭ অক্টোর ভোটগ্রহন পর্যন্ত।