
এস,এম, আলাউদ্দিন সোহাগ, পাইকগাছা ::
খুলনার পাইকগাছার বিভিন্ন এলাকায় চিংড়ি ঘের মালিকদের বিরুদ্ধে ভেড়িবাঁধ কেটে পাইপ বসিয়ে লবণ পানি উঠানোর কারণে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা শহিদুল্লাহ মজুমদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও আজও পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা না কয়েকটি এলাকা ঝুকির মধ্যে রয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার গড়ইখালী ইউপির ১০নং পোল্ডারস্থ বাসাখালী এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেড়িবাঁধের তলদেশ কেটে পাইপ বসিয়ে লবণ পানি উঠিয়ে চিংড়ি চাষ করছে। এ কারণে স্থানীয় মাহফুজুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান মন্টু, কোহিনুর সরদার, হাশেম গাজী, জাকির সানা সহ অনেকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ হয়েছে। অভিযোগে জানা যায়, সম্প্রতি প্রভাবশালীরা রাতের আঁধারে বাঁধ কেটে এ পাইপ বসিয়ে ও ৩নং স্লুইজ গেটের ঢাকনা কেটে প্রভাবশালীরা পোল্ডারে লবণ পানি উত্তোলন করেছেন। আইলার মত অতীতের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে স্থানীয়রা জানান, প্রকৃতিক দূর্যোগ ও দুর্বিপাকে ওয়াপদার এ সমস্ত ক্ষতিগ্রস্থ স্থান ভেঙ্গে জলোচ্ছ্বাসে জান-মালের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশংকা রয়েছে। এ সমস্ত ঘের মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত ১৮ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় ইউপি সদস্য হান্নান গাজী, শহর আলী সরদার, তোহিদুজ্জামান, আব্দুল গণি সানা সহ অনেকেই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফকরুল হাসান বলেন, ভেড়িবাঁধ কাটার অভিযোগের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পরেও কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা প্রকৌশলী শহিদুল্লাহ মজুমদার নিজেকে অসুস্থ থাকার কথা জানিয়ে বলেন, স্থানীয় দুটি প্রভাবশালী দ্বন্দ্ব ও ওয়াপদা কাটার ঘটনায় তিনি মামলা করবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
##