
সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার চিহ্নিত সুদখোর রহমত আলীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবী জানান, পাটকেলঘাটা থানার কাটাখালী গ্রামের রজব আলীর ছেলে ভুক্তভুগী শেখ আজিজুর রহমান।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি দ্বীন মজুরির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। গত ২০১৮ সালে আমার টাকার বিশেষ প্রয়োজন হওয়ায় পাটকেলঘাটা শ্রমজীবী ফাউন্ডেশন থেকে ৩০% হারে সুদে ১ বছর মেয়াদে পরিশোধের শর্তে ৫০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করি। যার প্রমানাদি আমার কাছে আছে। উক্ত সমিতিতে এখনও আমার ৪০ হাজার ৭৬৬ টাকা সঞ্চয় রয়েছে। সে সময় ওই ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা আমার কাছ থেকে আমার স্বাক্ষরিত একটি ফাঁকা চেক ও ফাঁকা স্ট্যাম্প জমা নেন। কিন্তু ঋণ গ্রহনের পর পারিবারিক অসুবিধার কারণে আমার কয়েকটি কিস্তি দিতে বিলম্ব হওয়ায় ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা ও সাবেক সভাপতি রহমত আলীর কু-পরামর্শে পাটকেলঘাটা শ্রমজীবী সমবায় সমিতির পক্ষে সাধারণ সম্পাদক আশিকুজ্জামান মোড়ল সাতক্ষীরা জজ কোর্টের এক আইনজীবীর মাধ্যমে ওই চেকের পাতায় ৩ লাখ টাকা বসিয়ে আমাকে একটি লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেন। নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করলে আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের কথাও বলা হয়েছে। লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্তির পর আমিসহ আমার পরিবারের সদস্যরা হতবাক হয়ে পড়ি। ঋণ নিয়েছি ৫০ হাজার টাকা যার কিস্তিও চলমান রয়েছে। অথচ ৩ লাখ টাকা কিভাবে তারা আমার কাছে পাবে এটি আমি বুঝিনা। পরবর্তীতে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারি তারা শুধু আমাকেই নই পাটকেলঘাটা এলাকার অনেক গ্রাহককে এভাবে ফাঁদে ফেলে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করে দিশেহারা করেছেন। হিসাব রক্ষক রহমত আলিসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগন বিভিন্ন জায়গায় অফিস খুলে লাইসেন্স বিহীন পাটকেলঘাটা শ্রমজীবি ফাউন্ডেশনের সাইনবোর্ড ব্যাবহার করে দীর্ঘদিন ধরে চক্রাবৃদ্ধি হারে সুদ বানিজ্য পরিচালনা করে আসছেন। গত ৬/১১/২০১৯ তারিখে তাদের দূর্নিতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনের খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর গত ১১/১১/ ২০১৯ তারিখে তারা তাদের পাটকেলঘাটা অফিসের সামনে থেকে সাইনবোর্ড নামিয়ে ফেলেন। অবৈধভাবে এই সাইনবোর্ড ব্যাবহার করে এক সময়ের ছাগল ব্যাবসায়ী রহমত আলি এখন কোটিপতি। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি (আজিজুর) পাটকেলঘাটা শ্রমজীবি ফাউন্ডেশনের আড়ালে অবৈধ বাণিজ্য পরিচালনাকারী সুদখোর রহমত আলী গং এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি