
অমিত কুমার, পাটকেলঘাটা ::
পাটকেলঘাটার সকল মাঠজুড়ে সবুজে সবুজে ভরে উঠেছে বোরো ধান ক্ষেত। শেষ পর্যায়ে ধানের প্রথম দফার নিড়ানির কাজ। এখন চলছে শুধু দ্বিতীয় দফার নিড়ানি, সেচ, সার ও কীটনাশক প্রয়োগের কাজ। বিদ্যুৎ সরবরাহ ও পানিস্তর ভালো থাকায় শঙ্কামুক্ত কৃষকরা। সরজমিন দেখা গেছে, কৃষি প্রধান পাটকেলঘাটা প্রায় সর্বত্রই বোরো ধানের চাষ করা হয়। পাটকেলঘাটায় উল্লেখযোগ্য ধানদিয়া,নগরঘাটা,মিঠাবাড়ি,বাইগুনি,শাকদাহ,বড়বিলা,মির্জাপুর,গোয়লপোতা,খলিষখালী, সরুলিয়া বিলসহ সব স্থানেই হয়েছে জিরা, আটাশ সহ অধিক ফলনশীল বিভিন্ন জাতের ধান। আবার দেখাগেছে অনেক কৃষকই জমিতে সমবায় ভিত্তিতে মাছ চাষের জন্য পুকুর খনন করতে থাকে। বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের যুগপোযোগী পদক্ষেপের কারণে আধুনিক যন্ত্রের সরবরাহ, চাহিদানুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য চলতি বছর প্রায় আগের সমপরিমাণ জমিতে বোরো চাষ প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। অনুকুল আবহাওয়ার কারণে চলতি মৌসুমে ধান ভালো হয়েছে। রোগবালাই ও পোকামাকড় হতে ফসল রক্ষায় মাঠে মাঠে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কৃষকদের মধ্যে পরামর্শ দিয়ে আসছেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।
বোরো চাষি ধানদিয়ার কৃষক শহিদুল ইসলাম ভয়েস অব সাতক্ষীরাকে জানান, তিনি প্রতি বছরের মতো এ বছর প্রায় ৬ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছেন। সব জমির ফসলের পরিচর্যার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন পর্যন্ত তেমন বড় ধরনের রোগবালাই দেখা যায়নি। এখন পর্যন্ত ধানের শতভাগ অবস্থা ভালো এ জন্য ভালো ফলনের আশাবাদী তিনি।
বড়বিলা গ্রামের কৃষক আব্দুল হক ভয়েস অব সাতক্ষীরাকে জানান, বোরো ধানের পরিচর্যার কাজ প্রায় শেষ দিকে। এখন সেচ ও কীটনাশক প্রয়োগ জরুরি। মাঠে ধানের অবস্থা ভালো আছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না আসলে বাম্পার ফলনের আশা করেন তিনি।
তালা উপজেলা কৃষি অফিসার সামসুল আলম ভয়েস অব সাতক্ষীরাকে জানান,কৃষি অধ্যুষিত তালা উপজেলার পাটকেলঘাটায় প্রায়সব মাঠেয় স্থানেই বোরো ধানের চাষ হয়ে থাকে। অনুকুল আবহাওয়া, প্রয়োজনীয় পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ, চাহিদানুযায়ী কৃষি উপকরণ সরবরাহ সাহায্যে বোরো রোপণের কারণে অধিক আগ্রহের সঙ্গে কৃষকরা বোরো চাষ করেছেন। এছাড়া প্রতি মাঠে কৃষকদের মধ্যে পরামর্শ দিয়ে আসছেন আমাদের অফিসার ও ইউনিয়ান কৃষি টিম। এখন পর্যন্ত ফসলের অবস্থা ভালো আছে। প্রাকৃতিক আবহওয়া খারাপ না হলে ভালো ফলনের আশা করা যায়।
##