
মাহফুজুর রহমান মধু, পাটকেলঘাটা : রমজানে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কম থাকলেও অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে কাঁচা বাজারের সকল পণ্য। মাছ, মাংস, সহ অন্যান্য জিনিসের দাম কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও বেড়েছে শাক-সবজি সহ কাঁচামালের দাম। এতে অস্বস্তিতে রয়েছে সাধারণ ক্রেতারা। প্রতিবছরই রমজানের অযুহাতে ব্যবসায়ীরা বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেয়। রমজানে যাতে বাজারে ব্যবসায়ীরা অহেতুক জিনিস পত্রের দাম বাড়াতে না পারে সে জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। যার কারণে অনেকটা বেকায়দায় অসাধু ব্যবসায়ীরা। গতকাল শুক্রবার সাতক্ষীরা জেলার সর্ববৃহৎ বাণিজ্য কেন্দ্র পাটকেলঘাটা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পটল ২৫টাকা, বেগুন ৯০ টাকা, শসা ২৫ টাকা, উচ্ছে ৫০ টাকা, পুঁইশাক ১০ টাকা, ওল ৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা, আলু ২৪ টাকা, কাঁচ কলা ২৫ টাকা,ঢেড়স ৩০টাকা, পেয়াজ ৪৪ টাকা, রসুন ৫৮ টাকা। এছাড়া কাচাবাজার অন্যান্য শাক-সবজি ও তৈরীতরকারীর দাম আগের তুলনায় বেড়েছে। রমজান মাসের আগে এ সকল জিনিসের দাম অনেক কম ছিল বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। এদিকে বাজারে মাছের সরবরাহ অনেকটা বেড়েছে। কিন্তু দাম কিছুটা বেড়েছে। প্রতি কেজি রুই মাছ ২২০ টাকা, কাতলা মাছ ২৫০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৪২০ টাকা কেজি, তেলাপিয়া ১৬০ টাকা, দেশী মুরগী ২৮০ টাকা, পোল্ট্রি ১৪০ টাকা, গরুর মাংস ৩৫০ টাকা, খাসি ৫০০ টাকা। এছাড়া বাজারে মুসরির ডাল ৯৬ টাকা, বুট ডাল ৪৪ টাকা, ছোলার ডাল ৬০ টাকা, মুগডাল৯২টাকা, ভৌজ্য তেল সয়াবিন ৮২ টাকা, সুপার ৭২ টাকা, পাম্প তেল ৬৭ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে তেলের দাম আগের তুলনায় ৪-৫ টাকা কমেছে। রমজান মাসে বাজারে যেসব পণ্যের সরবরাহ চাহিদা বেশি সেসব পণ্যের দাম অনেকটা কমেছে। যেমন, মুড়ি ৬০ টাকা, চিড়া ৪০ টাকা, ছোলা ৫৪ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মসলার বাজারও রয়েছে স্থিতিশীল। গতকাল পাটকেলঘাটা বাজারের মুদি ব্যবসায়ী বদ্যনাথ ঘোষ জানায়, গত বছরের তুলনায় দোকানে পর্যাপ্ত মাল মজুদ থাকায় এবং সরকার কঠোর অবস্থায় থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা জিনিস পত্রের দাম কিছুটা স্বাভাবিক রেখেছে। এদিকে ভূক্তভোগী সাধারণ ক্রেতা তৈলকূপী গ্রামের আব্দুস সবুর গাজী জানান, এবার রমজান মাসে জিনিসপত্রের দাম কিছুটা কম থাকাতে আমাদের মতো সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের পক্ষে অনেকটা জিনিসপত্র ক্রয় করতে সুবিধা হয়েছে। তবে কাঁচাবাজারে পণ্যের দাম একটু বেশি হওয়ায় অস্বস্তিতে রয়েছে সাধারণ ক্রেতারা। ভেজাল পন্য সরবরাহ বন্ধ করতে প্রশাসনের তদারকি চায় সাধারন মানুষ।