
অমিত কুমার, পাটকেলঘাটা ::
পাটকেলঘাটার ধানদিয়ার এনায়েত পুরে দীর্ঘ দিন যাবৎ শুটকি পল্লীর হাফিজুর বিশ্বাস ও সাত্তার বিশ্বাস সিন্ডিকেটে গড়ে উঠেছে অবৈধ শুটকি মাছের ব্যবসা। যার কারনে প্রতিদিন শুটকি মাছের পঁচা গন্ধে প্রতিনিয়ত বাড়ছে নানান রোগবালাই। সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়, স্থানীয় ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের সাথে হাত মিলিয়ে ও প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গালী দেখিয়ে প্রতিদিন পঁচা পোনা সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধ্বংস করে, প্রকাশ্যে শুটকি তৈরী করে বাতাসে পঁচা গন্ধ ছরিয়ে পরিবেশ বিপর্যায়ের মধ্যে বসবাস করছে ইউনিয়নবাসী। এনায়েতপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ গজ দক্ষিণে অবস্থিত শুটকি মাছের এ পল্লী।
এতে বাদ যায়নি ছোট ছোট কমলমতি প্রাইমারী, মাদ্রাসা ও হাইস্কুলে শিক্ষক শিক্ষার্থী সহ নানান বয়সী মানুষজন। স্থানীয় জনসাধারণের কাছ থেকে জানা যায়, শুটকি পল্লীর পাশের রাস্থা দিয়ে ৩/৪টি গ্রামের ছাত্র ছাত্রী ও জন সাধারন চলাচল করে। এ অবৈধ ও নিষিদ্ধ শুটকির পঁচা দূর্গন্ধে আজ আমরা অতিষ্ঠ! এনায়েতপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছোট ছোট ছাত্র ছাত্রীরা জানায়, শুটকি মাছের পঁচা গন্ধে আমারা ঠিক মত ক্লাস করতে পারিনা, বমি হয়, মাথা ঘুরায়, মাঝে মাঝে পেটও খারাপ হয়।
নাম না প্রকাশ করার সত্তে স্কুলের এক শিক্ষক জানায়, কেউ এই অন্যায় কাজের কোন প্রতিবাদ করেনা। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে জীবন নাশের হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে শুটকি পল্লীর হাফিজুর বিশ্বাস ও সাত্তার বিশ্বাস ভয়েস অব সাতক্ষীরাকে বলেন, আমি সব কিছু ম্যানেজ করেই শুটকি পল্লী চালাই, শুটকি পল্লীর অনুমোদন আছে কি না, প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আমি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স এনে এ কাজ করি।
থানা পুলিশ প্রশাসনের উপর দোষ চাপিয়ে দেয় শুটকি পল্লির হাফিজুর বিশ্বাস ও সাত্তার বিশ্বাস । তাদের এ অদৃশ্য শক্তি কোথা থেকে আসছে তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন।
এ বিষয়ে ১নং ধানদিয়া ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম মিলন ভয়েস অব সাতক্ষীরকে বলেন, এ বিষয়ে বহুবার বলেছি, কিন্তু কেউ শোনেনা । ইাউনিয়ন পরিষদ থেকে তাদের কোন প্রকার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে পাটকেলঘাটা থানার ওসি মোল্লা জাকির হোসেন ভয়েস অব সাতক্ষীরাকে বলেন, শুটকি পল্লীর হাফিজুর বিশ্বাস ও সাত্তার বিশ্বাস পুলিশকে জড়িয়ে যে কথা বলছে তা সম্পুর্ন ভিত্তিহীন।এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
এ বিষয়ে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ হোসেন ভয়েস অব সাতক্ষীরাকে বলেন,এটা আমার বিষয় নই।