
ভয়েস অব সাতক্ষীরা ডটকম ডেস্ক :
‘পণ্যের মোড়কীকরণে পাটের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’ সারাদেশে একযোগে বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।
সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০১৫’ এর তৃতীয় ও শেষ দিনের দ্বিতীয় কার্য অধিবেশন শেষে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এ সময় পাটমন্ত্রী ইমাজউদ্দিন প্রামাণিকও উপস্থিত ছিলেন।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ডিসিদের এ অধিবেশন হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা এতে সভাপতিত্ব করেন।
পাট প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পণ্যের মোড়কীকরণে বাধ্যতামূলক পাটের ব্যবহার আইন রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে পাটশিল্প ধ্বংসের পথে, পাটকলগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আইনটি বাস্তবায়ন করতে পারলে এ অবস্থা থেকে আমরা উত্তরণ ঘটাতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘আইনটি ২০১০ সালে করা হলেও ২০১৪ সাল থেকে কার্যকর ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এখনো আইনটি বাস্তবায়ন করা যায়নি। এ আইনটি সারাদেশে একসঙ্গে বাস্তবায়নের জন্য আমরা ডিসিদের উদ্যোগ গ্রহণ করতে বলেছি।’
‘কারণ বাজারে পাটের ব্যাগ ও পলিথিনের ব্যাগ একই সঙ্গে থাকলে পলিথিনের ব্যাগ মানুষকে বেশি আকর্ষণ করবে। সারাদেশ থেকে যখন একসঙ্গে পলিথিন উঠে যাবে তখন পাটের ব্যাগ ব্যবহার ছাড়া মানুষের দ্বিতীয় চয়েজ থাকবে না’- বলেন মির্জা আজম।
এ আইনটি ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনে তফসিলভুক্ত। কয়েক দফা সময় বেঁধে দেওয়া হলেও পণ্যের মোড়কীকরণে পাটের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে পারেনি সরকার।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ‘ধান, গম, ভুট্টা, চিনিসহ এ জাতীয় পণ্য মোড়কীকরণে কেউ পাটের বস্তা ব্যবহার না করলে কমপক্ষে এক বছরের জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে আইনে। ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন বাস্তবায়ন করা হবে।’