অনলাইন ডেস্ক ::
চীনের একটি মহাকাশ পরীক্ষাগারের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পৃথিবীতে আছড়ে পড়েছে।
চীনের মহাকাশ কার্যালয়ের বরাত দিয়ে মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সোমবার স্থানীয় সময় বেলা ৩টার দিকে টিয়ানগং-১ নামের মহাকাশ গবেষণাগারের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়ে। এই মহাকাশ গবেষণা স্টেশনটি চীনের উচ্চাভিলাষী মহাকাশ কর্মসূচির অন্যতম প্রধান অংশ ছিল।
২০২২ সাল নাগাদ মানুষের বসবাসের উপযোগী একটি মহাকাশ কেন্দ্র মহাশূন্যে পাঠানোর যে লক্ষ্য চীন ঠিক করেছে টিয়ানগং-১ ছিল তারই পূর্ব প্রস্তুতি।
মহাকাশ গবেষণা স্টেশনটি ২০১১ সালে পৃথিবীর কক্ষপথে প্রবেশ করতে সমর্থ হয়। প্রায় সাত বছর পর এটি এখন ধ্বংস হয়ে পৃথিবীতে আছড়ে পড়েছে।
চীনা ও ইউরোপীয় মহাকাশ বিজ্ঞানীরা আগে থেকেই ধারণা করছিলেন, সোমবার নাগাদ মহাকাশ কেন্দ্রটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে।
তবে সায়েন্স ফিকশন সিনেমার মতো বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হবে না বলে আশ্বাস দেয় চীনের মহাকাশ প্রকৌশল দপ্তর। নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা জানায় , খুব বেশি হলে আকাশে উল্কাবৃষ্টির মত দৃশ্য চোখে পড়তে পারে।
২০১৬ সালে মার্চে টিয়ানগং-১ এর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর থেকেই তিয়ানগং-২ নামের আরেকটি স্পেস স্টেশন নির্মাণ শুরু করে চীন। সম্প্রতি এটি মহাকাশে পাঠানো হয়েছে।
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরেই গবেষকরা জানিয়ে দিয়েছিলেন যেকোনো সময় ভূ-পৃষ্ঠে আছড়ে পড়তে পারে টিয়ানগং-১।
যুক্তরাষ্ট্র বা রাশিয়ার তুলনায় মহাকাশে চীনের যাত্রা খুন সাম্প্রতিক ঘটনাই বলা চলে। ২০০১ সালে প্রথম চীন মহাকাশে জন্তু পাঠায়। এরপর ২০০৩ সালে প্রথমবার চীনা কোনো নভোচারী মহাকাশে যায়। ২০১১ সালে চীন প্রথম মহাকাশ স্টেশন পাঠায়, যার নাম টিয়ানগং-১ বা ‘স্বর্গের প্রাসাদ’।
এই কেন্দ্রে মানুষ যেতে পারতো, তবে অল্প কয়েকদিনের জন্য। ২০১২ সালে একজন নারী নভোচারী টিয়ানগং-১ এ গিয়েছিলেন। ২০১৬ সালের মার্চের পর থেকে মহাকাশ পরীক্ষাগারটি আর কাজ করছিল না।
সূত্র: বিবিসি
