
স্টাফ রিপোর্টার :
সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার এক অসহায় বৃদ্ধ মহিলার পৈত্রিক সম্পত্তি জবরদখলের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয় ওই বিধবা মহিলাকে হয়রানি করছে দুর্বত্তরা। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করে বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাতক্ষীরা সদরের বাঁকাল গ্রামের মৃত বাবুর আলীর স্ত্রী জবেদা খাতুন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৮৫ সালে তার পিতা পলাশপোল মৌজার ১৩৫৭৮, ১৩৫৮১, ১৩৫৮২ ও ১৩৫৮৩ দাগের সাড়ে ৯৯ শতক জমি তার নামে লিখে দেন। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে তিনি তার একমাত্র কন্যা সুখজাহানকে নিয়ে সেখানে বসবাস করছেন।
কিন্তু তার পিতার মৃত্যুর পর ফুফাতো ভাইয়েরা ওই জমির ওপর লোলুপ দৃষ্টি দেয়। তারা ওই জমি দখলের জন্য ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে। এর সাথে যুক্ত হয় শহরের মুনজিতপুরের দলিল লেখক একেএম মুনসুর রহমান। তিনি আমার ফুফাতো ভাইদের নামে ওই জমির জাল দলিল তৈরি করে দেন। যা পরবর্তীতে পরস্পর যোগসাজশে ফুফাতো ভাইদের কাছ থেকে ইটাগাছার রহিম বক্সের ছেলে সিরাজুল ইসলাম, এন্তাজ আলীর ছেলে আ: সবুর, কালু মোল্যার ছেলে ইশারাত মোল্যা, কুখরালীর নুরুল আমিন, শশাডাঙ্গার ছাকাত আলী, দেবহাটার মাওলানা গফফার, আব্দুস ছাত্তার, আব্দুল হান্নান, পুরাতন সাতক্ষীরার শফিউর রহমান, কামালনগরের বাবুর আলী সরদার, কামালনগরের রমেছা খাতুন, বাকাল মুজিবুর রহমান ও কামালনগরের নুর মোহাম্মদ ক্রয় করে।
এ ঘটনায় আমি সাতক্ষীরা আদালতে তিনি একটি মামলা দায়ের করেন। কোর্ট তার পক্ষে রায় ও ডিক্রি প্রদান করে। তা সত্ত্বেও তাকে তার নামীয় পৈত্রিক জমি থেকে উচ্ছেদ করতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে উল্লিখিতরা। তিনি বলেন, তার মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার সময়ও তারা বাধা দিয়েছে এবং পরবর্তীতে মেয়ে জামাইয়ের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের হাত থেকে প্রতিকার পেতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ সময় তার সাথে তার মেয়ে সুখহাজান উপস্থিত ছিলেন।