
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দুই খুনিকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে পাকিস্তান সরকার কোনো সহযোগিতা করছে না।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে, কয়েকজনের রায়ও কার্যকর হয়েছে, বাকিদেরও হবে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মধ্যে যারা বিদেশে পলাতক রয়েছে তাদের ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা হবে। তবে যেসব দেশে খুনিরা পালিয়ে আছে সেসব দেশের সরকার আমাদের সহযোগিতা করছে না। আমরা যতদুর জানি খুনি রশিদ লিবিয়া ছিল, সেখান থেকে সে পাকিস্তান এসেছে, খুনি ডালিমও এখন পাকিস্তান রয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে না।’ খবর বাসসের
প্রধানমন্ত্রীর বুধবার সংসদে তার জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের বিষয় সভ্য দেশ, উন্নত দেশ হয়েও খুনিদের কেন আশ্রয় দিচ্ছে? আমেরিকা-কানাডার মতো সভ্য দেশ কেন খুনিদের সেখানে রাখছে এটা আমার জানা নেই। তাদের সরকারের কাছে অনুরোধ করেছি, কিন্তু তারা কোনো সহযোগিতা করছে না। যেকোন কারণেই হোক আমাদের সহযোগিতা করছে না এটাই হলো বাস্তবতা।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘একজন খুনি ব্যাংককে ছিল তাকে ব্যাংকক সরকারের সহযোগিতায় ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা হয়। এ ছাড়া আমেরিকা ও কানাডায় দুইজন ও পাকিস্তানে দুই জন রয়েছে, বাকী দুইজন কোথায় আছে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে সরকারের পক্ষ থেকে ১৯৯৬ সাল থেকে কমিটি গঠন করা হয়েছে, আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে। আমেরিকা ও কানাডাতেও আইনজীবী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সরকার বিভিন্নভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিরা যেসব দেশে পলাতক রয়েছে, অনেকবার তাদের সরকারের কাছে অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি আইনগত প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ইন্টারপোলে এদের উপর রেড এলার্ট জারি করা আছে। এ ছাড়া খুনিদের ফিরিয়ে আনতে স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয় যৌথভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খুনি খুনিই, এরা যেখানেই থাকুক তবুও এরা খুনি। এদের দেশে ফিরিয়ে আনা এবং বিচারের মুখোমুখি করা সরকারের কর্তব্য।’
তিনি বলেন, ‘বিচার হবে না, এ কথা অত্যন্ত গর্ব করেই খুনিরা বলেছিল। কিন্তু তাদের বিচার হয়েছে এবং তা হয়েছে সাধারণ আইনে এ ধরনের বিচার পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ঘটনা।’
তিনি দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করে বলেন, ‘নিশ্চয়ই কোনো না কোনো সময় খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের ফাঁসির রায় কার্যক্রর করা সম্ভব হবে।’