
এস.এম.সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট :
বঙ্গোপসাগরে আকষ্মিক ঝড়ে ৫টি ফিশিং ট্রলার ডুবে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন বাগেরহাটের শরণখোলা ও বরগুনার পাথরঘাটার উপজেলার পাঁচ জেলে। সাগরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৩৩ জেলেকে।
শনিবার গভীর রাতে দুবলার চর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে ফেয়ারওয়ে বয়া ও হিরণ পয়েন্ট সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এ ঘটনা ঘটে। বনবিভাগ, উপকূলীয় মৎস্যজীবী নেতা ও জেলে সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলো হচ্ছে, শরণখোলার রাজৈর গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী মো. কামাল হাওলাদারের এফবি আরিফ, দীপচর গ্রামের আ. মান্নানের এফবি মান্নান, পাথরঘাটা উপজেলার মৎস্য ব্যবসায়ী শিপন দাসের এফবি সোনাই, সোহারাব হোসেনের এফবি মায়ের দোয়া এবং সোহাগ হোসেনের এফবি সোহাগ।
নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে তিন জনের নাম জানা গেছে। এরা হলেন শরণখোলার এমাদুল হাওলাদার এবং পাথরঘাটার কালাম ও এমাদুল হক। নিখোঁজ অপর দুই জেলের নাম জানা যায়নি।শরণখোলা ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবর তালুকদার বোরবার দুপুর ২টার দিকে জেলেদের বরাত দিয়ে জানান, শনিবার দিনগত রাত ৪টার দিকে সাগরে হঠাৎ ঝড় শুরু হয়। ওই ঝড়ে উপজেলার রাজৈর এলাকার এফবি আরিফ ও দীপচরের এফবি মান্নান ট্রলার ডুবে যায়। এঘটনায় আরিফ ট্রলারের তিন জেলে নিখোঁজ হয়েছেন।তিনি আরো জানান, ডুবে যাওয়া এফবি আরিফ ট্রলারের বাকি ১৩ জেলেকে অন্য একটি ট্রলারের জেলেরা উদ্ধার করে পাথরঘাটা পৌঁছে দিয়েছে। এছাড়া, উপজেলার খোন্তাকাটা গ্রামের হাতেম মোল¬ার এফবি রহিমা ট্রলারের জেলেরা সাগর থেকে ভাসমান আরো ২০ জেলেকে উদ্ধার করে হিরণ পয়েন্টে পৌঁছে দিয়েছে।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরীর কাছ থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানা যায়, পাথরঘাটা এলাকার তিনটি ট্রলার ডুবে গেছে এবং দুই জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। তবে, ট্রলার ডুবি ও নিখোঁজের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ওই মৎস্যজীবী নেতা।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের এসিএফ (সহকারী বন সংরক্ষক) মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ ট্রলারডুবির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কি পরিমান ট্রলার ডুবেছে এবং কতো জেলে নিখোঁজ হয়েছেন তার সঠিক তথ্য জানা সম্ভব হয়নি। বনবিভাগের কর্মীরা এসব তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। দুর্যোগের কবলে পড়ে শত শত ট্রলার সুন্দরবনের কচিখালী, সুপতি, কটকা, নারকেলবাড়িয়াসহ বিভিন্ন খালে আশ্রয় নিয়েছে। এসব ট্রলার ও জেলেদের সার্বিক নিরাপত্তায় বনবিভাগ নিয়োজিত রয়েছে।মংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের কমান্ডার ক্যাপ্টেন মেহেদী মাসুদ জানিয়েছেন, তারা সাগরে ট্রলার ডুবি ও জেলে নিখোঁজের ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছেন। এব্যাপারে নৌবাহিনীর সাথেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।