
এস, এম, আলাউদ্দিন সোহাগ ::
পাইকগাছার লোনাপানি গবেষণা কেন্দ্র ও আঁধা নিবিড় পদ্ধতির বিভিন্ন চিংড়ি খামার পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাকোয়াকালচার বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। কোষ্টাল এ্যাকোয়াকালচার এন্ড মেরি কালচার এর উপর ৬ দিনের শিক্ষা সফরের অংশ হিসাবে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা গত বুধবার ময়মনসিংহ থেকে পাইকগাছা আসেন। সফরে শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন এ্যাকোয়াকালচার বিভাগের প্রফেসর ড. এমএ সালাম, সহযোগী প্রফেসর ড. তানভীর রহমান, সহকারী প্রফেসর জান্নাতুল ফেরদৌস ও কেএম শাকিল রানা। শিক্ষকদের সাথে সফরে এসেছেন এ্যাকোয়াকালচার বিভাগের লেভেল-২, সেমিষ্টার-১ এর ১১৪ জন তরুণ শিক্ষার্থী। সফরের অংশ হিসাবে গত ৪ দিন তারা বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট লোনাপানি কেন্দ্রের গবেষণা কার্যক্রম, আঁধা নিবিড় পদ্ধতির বিভিন্ন চাষীর চিংড়ি খামার, কাঁকড়ার ফ্যাটেনিং খামারসহ বিপনন কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শন শেষে মাঠ পর্যায়ের বাস্তব ভিত্তিক অভিজ্ঞতালব্ধ এ জ্ঞান লেখাপড়া সহ লেখাপড়া পরবর্তী কর্মময় জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা সফরে আসা বাকৃবি’র শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থী তন্বী জানান, এতদিন পাঠ্যপুস্তকে যা পড়েছি মাঠ পর্যায়ে এসে পরিদর্শনলব্ধ জ্ঞান অর্জন করার মাধ্যমে তা পূর্ণতা পেয়েছে। শিক্ষার্থী আবীর জানান, শিক্ষা সফরে এসে কাঁকড়ার চাষাবাদ ও ফ্যাটেনিং সহ বিস্তারিত বাস্তব ভিত্তিক অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়েছে। এ ধরণের অভিজ্ঞতা লেখাপড়ার জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন এ শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থী সন্ধ্যা জানান, গুণগত মান সম্পন্ন লেখাপড়ার জন্য শিক্ষা সফর যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা সফরে এসে তা অনুভব করেছি। সফরে এসে জানতে পেরেছি, প্রযুক্তিগত অনেক নতুন নতুন তথ্য। সফরে আসা সহকারী প্রফেসর জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, এ ধরণের শিক্ষা সফর শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে শেখানোর জন্য এ ধরণের শিক্ষা সফরের কোন বিকল্প নাই বলে মন্তব্য করেন তরুণ এ শিক্ষক জান্নতুল ফেরদৌস। শিক্ষা সফরের নেতৃত্ব দানকারী প্রফেসর ড. এমএ সালাম জানান, ৬ দিনের শিক্ষা সফরের অংশ হিসাবে বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ৪ দিন পাইকগাছায় অবস্থান করা হয়। এ ৪ দিনে লোনাপানি কেন্দ্রের গবেষণা কার্যক্রম সহ এলাকার বিভিন্ন চিংড়ি, মৎস্য ও কাঁকড়ার ফ্যাটেনিং খামার ও বাজারজাতকরণ গুরুত্বপূর্ণ মার্কেট পরিদর্শন করা হয়। শিক্ষা সফরে এসে শিক্ষার্থীরা মাঠ পর্যায়ের বাস্তব অভিজ্ঞতালব্ধ যে জ্ঞান অর্জন করেছেন তা লেখাপড়া এবং লেখাপড়া পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
##