
এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট :
পৌরসভাসহ উপজেলার হাট-বাজার গুলোতে আগাম জাতের তরমুজ সয়লাব হয়ে পড়েছে। স্থানীয় হাট-বাজারে তরমুজ উঠলেও তা সুস্বাদু ও রসালো না হওয়ায় বেচাকেনা কম। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাগেরহাটজেলার বাগেরহাট পৌরসভার . মোড়েলগঞ্জ বাজার, পৌর ..বাজারসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ হাট-বাজার গুলোতে থরে থরে সাজানো রয়েছে তরমুজ। আগাম জাতের এসব তরমুজ দেখতে সুন্দর হলেও সুস্বাদু নয়। যে সকল ক্রেতা তরমুজ খেতে পছন্দ করেন তারা তরমুজ কিনতে আসছেন ঠিকই। কিন্তু দাম চড়া হওয়ার কারনে অনেকেই দাম শুনে পরে কিনবেন বলে ফিরে যাচ্ছেন।মোড়েলগঞ্জ বাজার চৌরাস্তা বাজারের ফল ব্যবসায়ী ইদিস (৩২) ও কালাম (৩৫) জানান, প্রতি কেজি তরজুম ২৫ থেকে ৩০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আবার অনেক সময় আকার ও সাইজ অনুযায়ী তরমুজ বিক্রি করছেন তারা
ওই বিক্রেতারা জানান, গত বছর তরমুজের দাম ছিল হাতের নাগালে। তাই ক্রেতারাও হরদম তরমুজ কিনতো। এ বছর আগাম জাতের তরমুজের দেখা মিললেও দাম চড়া। তরমুজের দাম উদ্ধমুখী হওয়ার কারনে ক্রেতারা তরমুজের স্বাদ গ্রহণ করতে পারছেন না।এড়েন্দা গ্রামের তরমুজ ক্রেতা শেখ মো: এমদাদুল হক (৩৮), শাহজাহান খান. জানান, বর্তমানে এখানকার হাট-বাজার গুলোতে যে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে, তার দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। তাছাড়া এ সব তরমুজ রসালো নয়, স্বাদও ভাল না। তাছাড়া, অনেক অসাধু ফল ব্যবসায়ী এ সব তরমুজে সিরিঞ্জ দিয়ে বিশেষ কায়দায় চিনি মিশ্রিত লাল রংয়ের পানি পুশ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।###
বাগেরহাটে স্ত্রীকে জবাই করে হত্যার দায়ে স্বামী মাহমুদুল আলমের মৃত্যুদন্ডাদেশ
এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট :
বাগেরহাটের বিয়ের তৃতীয় দিনে স্ত্রীকে জবাই করে হত্যার দায়েস্বামী মো. মাহমুদুল আলম শিকদার(৩৩) কে মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহষ্পতিবার সকালে বাগেরহাট দায়রা জজ মিজানুর রহমান খাঁন এই আদেশ দেন। রায় ঘোষনা কালে আসামী আদালতে অনুপস্থিত ছিল। নিহত স্ত্রী শরিফা বেগম পুতুল ঢাকার ইডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সম্মান তৃতীয় বর্ষের মেধাবি ছাত্রী ছিলেন। মামলার ৩ বছর পর এই নারকীয় ঘটনার রায় প্রদান করা হয়। আসামী মাহমুদুল আলম মোল্লাহাটের প্রয়াত শামছুল আলম শিকদারের ছেলে। সে জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছে।
বাগেরহাটের পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাড. শেখ মোহাম্মদ আলী . জানান, নিহত পুতুলের বড় বোন সাগরিকা আসামী মাহমুদুলের বড় ভাই শাইকুলের স্ত্রী। আত্মীয়তার সম্পর্কের ফাঁকে মাহমুদুল ও পুতুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরিবারের কাউকে না জানিয়ে পুতুল ও মাহমুদ গোপনে বিয়ে করে। পরে ঘটনা জানাজানি হলে উভয় পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নিয়ে ২০১৩ সালের ১০ মে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিয়ে দেন। এই বিয়ের ৩ দিন পর ১৩ মে রাতে পুতুলের সাথে অন্য কারও পরকিয়ার সম্পর্ক রয়েছে এই অজুহাতে পুতুলকে মাহমুদুল চাপাতি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে।নিহত শরিফা বেগম পুতুল বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার উদয়পুর দৈবকান্দি গ্রামের আবু দাউদ শেখের কন্যা। হত্যার পর রাতেই মাহমুদ কীটনাশক পান করে মোল্লাহাট থানায় গিয়ে স্ত্রী হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন। পুলিশ পরদিন সকালে মাহমুদুলের তালাবদ্ধ ঘর থেকে পুতুলের বিবস্ত্র লাশ ও চাপাতি উদ্ধার করে।এই ঘটনায় পুতুলের পিতা আবু দাউদ শেখ বাদী হয়ে মেয়ের জামাই মো. মাহমুদুল আলমকে আসামী করে মোল্লাহাট থানায় মামলা দায়ের করে। এই ঘটনায় একই বছরের ১৩ নভেম্বর মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাইদ মোহাম্মদ খায়রুল আনাম আদালতে মাহমুদুলকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট দাখিল করে। মামলা চলাকালে আসামী মাহমুদুল আলম জামিনে মুক্তি পান। পরে তার অনুপস্থিতিতে মামলার দীর্ঘ কার্যক্রম ও ১৪ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহন শেষে আদালত এই রায় প্রদান করেন। বাদী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর শেখ মোহাম্মদ আলী ও আসামী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সমিটির সভাপতি ড. একে আজাদ ফিরোজ টিপু।##
.